‘চীন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার’
- আপডেট সময় : ০৯:২২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বাংলাদেশের যতগুলো বড় প্রকল্প রয়েছে, অধিকাংশগুলোতে চীনের সহায়তা রয়েছে। বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতুতে চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা পার্টনারশিপ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, যা দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের সবচাইতে যে বড় সম্মেলন কেন্দ্র রয়েছে— চীন-বাংলাদেশ সম্মেলন কেন্দ্র। এটি মূলত চীন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাস্তবায়ন করেছিল। কিন্তু পরে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে পুরোটাই বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে। আমরা এ জন্য বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে রিপাবলিক অব চায়না তার সম্মানিত প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং চীনের জনগণকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে শীতবস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের আমির আরও বলেন, চীনের এই যাত্রা আমাদের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত এবং মুসলমানদের একটি ঐতিহ্যগত সম্পর্ক চীনের সঙ্গে রয়েছে। চীন থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এখানে এসেছেন। তারা এখানকার সমাজ পরিবর্তনের অবদান রেখেছেন। আবার এই অঞ্চল থেকেও জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিরা তাদের জ্ঞানের পরিসর আরও বৃদ্ধি করা জন্য চীন সফর করেছেন। সেখান থেকে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ভাষা উৎকর্ষ সাধন করে এসেছেন। দুনিয়ায় ভাষার দিক থেকে যেসব জাতি খুবই কাছাকাছি তাদের মনের আদান-প্রদান তা হবে চমৎকার। আমরা চাই যে চীনের সঙ্গে আমাদের ভাষাগত বন্ধন আরও সুদৃঢ় হউক। তাহলে আমাদের হৃদয়ের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।
তিনি বলেন, চীন সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অনেকগুলো কল্যাণমূলক কাজের পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমরা আশা করব চাইনিজ ভাষা শিক্ষার একটা উচ্চতর একাডেমি তারা এখানে গড়ে তুলবে। যাতে করে আমাদের পরবর্তী জেনারেশন ভবিষ্যত প্রজন্ম চায়নার সঙ্গে আরও বেশি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। আজ বিশ্বে যে কয়টি দেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি প্রকৌশলে একেভারেই সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে চায়নার তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ। অতএব চায়না থেকে আমাদের পাওয়া এবং জানার অনেক কিছু আছে। আজকে যে মহৎকাজের জন্য চায়না রিপাবলিকের পক্ষ থেকে মান্যবর রাষ্ট্রদূত এবং তার সহকর্মীরা এখানে এসেছেন আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি, এর মাধ্যমে আমাদের এই সহযোগিতার যে অভিযাত্রা শুরু হলো, এটি দিন দিন সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।