ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তাইওয়ানের রাজনৈতিক বিভক্তি নিয়ে আবারো আলোচনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তাইওয়ান ইস্যুতে নতুন করে জল ঘোলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার ঘণ্টা খানেক আগে বিরোধীদের ভেটোতে বাতিল হয়ে যায় তাইওয়ানের সামরিক খাতে বরাদ্দের বিল। এতে নাখোশ হোয়াইট হাউজ। পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট লাই চিং তের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এমনটা ঘটে। তাইওয়ানের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক দলগুলোর এমন বিভেদের ফায়দা লুটতে পারে চীন।

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আধিপত্য বাড়াতে তাইওয়ানকে কব্জায় রাখতে চায় আমেরিকা। তাই কয়েক দশক ধরেই এ ইস্যুতে মুখোমুখি অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।

নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন মসনদে বসার পর নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তাইওয়ান ইস্যু। দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক ভিন্নমত। যার প্রভাব গড়িয়েছে বহুদূর। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা আগে তাইওয়ানের পার্লামেন্টে স্থগিত হয়েছে দেশটির সামরিক খাতে বিলিয়ন ডলারের বিল। বিরোধীদের ভেটোতেই পার্লামেন্টে আটকে যা তা।

কারণ আইনসভায় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ‘লাই চিং তের’ ডেমোক্রেটিভ প্রগ্রেসিভ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। যেকারণে গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করতে বেগ পেতে হয় মার্কিনঘেঁষা প্রেসিডেন্ট লাই চিং তের।

তাইওয়ানের চলতি বছর সামরিক খাতে প্রায় ২০ শতাংশ বরাদ্দ বাড়ানোর কথা। তবে ঘটছে তার উল্টো। এতে যেকোনো মুহূর্তে তাইপের ওপর নারাজ হতে পারে ওয়াশিংটন। কেননা যুক্তরাষ্ট্রই হচ্ছে তাইওয়ানের প্রধান অস্ত্র ও রসদের যোগানদাতা।

সেই সঙ্গে চীনের হাত থেকে তাইওয়ানকে রক্ষায় বিপুল সেনা ও আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করেছে ওয়াশিংটন। তাই মার্কিন মুলুকের চাওয়া- তাদের কথায় পুতুলের মতো নাচবে তাইওয়ান। পরিস্থিতি যাই হোক, কোনো কারণে তাইওয়ান সরকার যদি আমেরিকার ইচ্ছার বাইরে যায় এর বড় খেসারত দিতে হবে তাইপেকে। বিষয়টি সাফ জানিয়ে দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।

গেল বছর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার সেনাদের ২০২৭ সালে তাওয়ানে অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকার ঘোষণা দেন। অপরদিকে ইতোমধ্যেই তাইওয়ানের নৌ সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ২ বছরের চুক্তি সই করেছে ওয়াশিংটন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তাইওয়ানের রাজনৈতিক বিভক্তি নিয়ে আবারো আলোচনা

আপডেট সময় : ০১:৪১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

তাইওয়ান ইস্যুতে নতুন করে জল ঘোলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার ঘণ্টা খানেক আগে বিরোধীদের ভেটোতে বাতিল হয়ে যায় তাইওয়ানের সামরিক খাতে বরাদ্দের বিল। এতে নাখোশ হোয়াইট হাউজ। পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট লাই চিং তের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এমনটা ঘটে। তাইওয়ানের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক দলগুলোর এমন বিভেদের ফায়দা লুটতে পারে চীন।

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আধিপত্য বাড়াতে তাইওয়ানকে কব্জায় রাখতে চায় আমেরিকা। তাই কয়েক দশক ধরেই এ ইস্যুতে মুখোমুখি অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।

নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন মসনদে বসার পর নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তাইওয়ান ইস্যু। দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক ভিন্নমত। যার প্রভাব গড়িয়েছে বহুদূর। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা আগে তাইওয়ানের পার্লামেন্টে স্থগিত হয়েছে দেশটির সামরিক খাতে বিলিয়ন ডলারের বিল। বিরোধীদের ভেটোতেই পার্লামেন্টে আটকে যা তা।

কারণ আইনসভায় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ‘লাই চিং তের’ ডেমোক্রেটিভ প্রগ্রেসিভ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। যেকারণে গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করতে বেগ পেতে হয় মার্কিনঘেঁষা প্রেসিডেন্ট লাই চিং তের।

তাইওয়ানের চলতি বছর সামরিক খাতে প্রায় ২০ শতাংশ বরাদ্দ বাড়ানোর কথা। তবে ঘটছে তার উল্টো। এতে যেকোনো মুহূর্তে তাইপের ওপর নারাজ হতে পারে ওয়াশিংটন। কেননা যুক্তরাষ্ট্রই হচ্ছে তাইওয়ানের প্রধান অস্ত্র ও রসদের যোগানদাতা।

সেই সঙ্গে চীনের হাত থেকে তাইওয়ানকে রক্ষায় বিপুল সেনা ও আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করেছে ওয়াশিংটন। তাই মার্কিন মুলুকের চাওয়া- তাদের কথায় পুতুলের মতো নাচবে তাইওয়ান। পরিস্থিতি যাই হোক, কোনো কারণে তাইওয়ান সরকার যদি আমেরিকার ইচ্ছার বাইরে যায় এর বড় খেসারত দিতে হবে তাইপেকে। বিষয়টি সাফ জানিয়ে দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।

গেল বছর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার সেনাদের ২০২৭ সালে তাওয়ানে অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকার ঘোষণা দেন। অপরদিকে ইতোমধ্যেই তাইওয়ানের নৌ সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ২ বছরের চুক্তি সই করেছে ওয়াশিংটন।