শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আবার আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৪:২৮:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় যেসব আসামি পালিয়ে গিয়েছিল জেল থেকে, তাদের অধিকাংশকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখনো সাত শতাধিক বন্দি ধরা পড়েননি। তবে তাদের ধরতে সরকার তৎপর রয়েছে। যেসব শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিনে কারাগারের বাইরে আছে, তাদের আবার আইনের আওতায় আনা হবে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে জরুরি সেবা (হটলাইন) উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেসব শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিন বাইরে আছে তাদের আবার আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি দেশে এখন চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বেড়েছে। তবে সেটা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের জনবলের স্বল্পতা না থাকলেও কমতি আছে আত্মবিশ্বাসের। যা বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশব্যাপী সহিংসতা ও সরকার পতনের উদ্ভূত পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে দেশের কয়েকটি কারাগারে বিশৃঙ্খলা-বিদ্রোহ করেন বন্দিরা। বাইরে থেকে কোনো কোনো কারাগারে চালানো হয় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। এই পরিস্থিতিতে কারাগারগুলো থেকে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন, বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিসহ বিচারাধীন মামলার ২ হাজার ২০০ বন্দি পালিয়ে যায়। যার মধ্যে ১ হাজার ৫০০ জনকে গ্রেপ্তারের পর ফের কারাবন্দি করা হলেও এখনো ৭০০ বন্দি পলাতক রয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে ১১ জন, ৭০ জন জঙ্গি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও শীর্ষ সন্ত্রাসী রয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশের জনবলের স্বল্পতা না থাকলেও কমতি আছে আত্মবিশ্বাসের। যা বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে। এসময় গণমাধ্যমের করা এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্ট জেল ভেঙে পালানো আসামিদের মধ্যে এখনও ৭০০-এর মতো পলাতক আছে। যাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, কারাগারের জরুরি সেবা হটলাইন নম্বর উদ্বোধন করেন। এখন থেকে আসামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, ফোন কথা বলার সময় ও খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য এই সেবায় এপোয়েন্টমেন্ট নিতে হবে বলেও জানান তিনি।
আর এই সার্ভিসে জুলাই আন্দোলনে আহতদের চাকরির সুযোগ করে দেয়া হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।