সরকারকে নিরপেক্ষতা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান খসরুর
- আপডেট সময় : ০৩:৫৬:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরপেক্ষতা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে যদি প্রশ্ন উঠলে সাধারণ মানুষের রক্ত-ত্যাগের প্রতি বেইমানি করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ রোববার ২৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষতার মাধ্যমে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনতে হবে। জনগণের অধিকার ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সঠিক সিন্ধান্ত না নিয়ে কেউ যদি দ্বিতীয় পথ অবলম্বন করে, তবে কারো কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এ পথে গেলে বড় ভুল করবে সরকার। জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।’
খসরু বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের মালিকানা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে ফিরিয়ে দিতে হবে। সেটাই ছিল জনগণের প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা পূরণ না হলে গণতন্ত্র হুমকির মধ্যে পড়বে। ফলে নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার সুযোগ নাই।’
সাত বছর আগে বিএনপি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। সেখানে দুই বারের অধিক কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, এগুলো ছয় বছর আগে বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন। হাসিনা-পরবর্তী যে বাংলাদেশ হবে এটাকে মাথায় রেখে খালেদা জিয়া কথাগুলো বলেছে। এই সংস্কারগুলো দরকার হবে আগামীর বাংলাদেশে। আজকে তারা সেই প্রস্তাবগুলো বলতেছে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আমরা দুই বছর আগেও যুগপৎ আন্দোলন দলগুলোকে নিয়ে ৩১ দফা সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছি। সুতরাং শেখ হাসিনা পতনের পর আগামী বাংলাদেশ কেমন হবে তার প্রস্তাব আমরা আগেই দিয়েছি। সেই কথাগুলো এখন আলোচনা চলছে, নতুন কিছু নেই। আগামী দিনে বিএনপি জাতীয় সরকারের গঠনের মাধ্যমে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে। বিএনপিসহ যুগপৎ শরিকরা ৩১ দফা বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আগামী দিনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে পাশ করবে বিএনপি। আর কোনো দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মনে করে তারা যদি মনে করে তাদের কিছু প্রস্তাব আছে তাহলে তাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে। সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের কী পরিবর্তন হবে, কী সংস্কার হবে, সেটা ভুল হবে।’
জুলাই বিপ্লবে ৫১৩ জন বিএনপি নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘বিএনপি এই আন্দোলনের কৃতিত্ব নিতে চায় না, জনগণকে দিতে চায়। যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের সঙ্গে বেঈমানি করা যাবে না। গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিভিন্ন দলের মত পার্থক্য থাকতে পারে তবে সবাইকে সম্মান করতে হবে।’
এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের-সহ ন্যাশনাল পিপলস পাটির (এনপিপি) ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শীর্ষ নেতারা।