ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:০৫:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ উঠেছে। তিনি সামরিক আইন জারি করার মধ্য দিয়ে বিদ্রোহ করেছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন সুক-ইওল। এর ছয় ঘণ্টা পর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তিনি সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন।

এরপর ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসিত করে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। গত সপ্তাহে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন রয়েছেন আইনশৃ্ঙ্খলাবাহিনীর হেফাজতে। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করা হলো। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট অভিযুক্ত হলেন।

ইউন শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন, তিনি কোনো ভুল করেননি।

চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। সেই অভিযান রুখে দিয়েছিলেন তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস-পিএসএসের সদস্যরা। পরে দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন তদন্ত কর্মকর্তারা।

আইনজীবীরা বলছেন, দোষী সাব্যস্ত হলে ইউনের আজীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। তবে গত কয়েক দশকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৩:০৫:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ উঠেছে। তিনি সামরিক আইন জারি করার মধ্য দিয়ে বিদ্রোহ করেছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন সুক-ইওল। এর ছয় ঘণ্টা পর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তিনি সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন।

এরপর ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসিত করে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। গত সপ্তাহে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন রয়েছেন আইনশৃ্ঙ্খলাবাহিনীর হেফাজতে। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করা হলো। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট অভিযুক্ত হলেন।

ইউন শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন, তিনি কোনো ভুল করেননি।

চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। সেই অভিযান রুখে দিয়েছিলেন তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস-পিএসএসের সদস্যরা। পরে দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন তদন্ত কর্মকর্তারা।

আইনজীবীরা বলছেন, দোষী সাব্যস্ত হলে ইউনের আজীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। তবে গত কয়েক দশকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি।