গাজা ড্রোনের পরীক্ষামূলক মহড়া চালালো ইরান
- আপডেট সময় : ০৪:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
ইসারাইলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজার সম্মানে নামকরণ করা সবচেয়ে বড় ড্রোন ‘গাজা’ প্রকাশ্যে আনার বছর না পেরোতেই পরীক্ষামূলক মহড়া চালিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো ইরান। ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে সক্ষম ড্রোনটি এক সঙ্গে ১২টি বিধ্বংসী বোমা নিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম বলে নিশ্চিত করেছে আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ফোর্স।
বিধ্বংসী বোমা নিয়ে আকাশে ডানা মেলেছে ইরানের তৈরি আলোচিত ড্রোন ‘গাজা’। নিখুঁতভাবে একের পর এক আঘাত হানছে লক্ষ্যবস্তুতে। এভাবেই পরীক্ষামূলক মহড়া চালিয়ে ‘গাজা’ নামক ড্রোনের শক্তি-সামর্থ্য বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরল তেহরান।
ইরানের তৈরি শক্তিশালী ড্রোন শাহেদ-এর চেয়েও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে থাকা ‘গাজা’ একসঙ্গে ১২টি বোমা বহন করতে সক্ষম।
প্রথম সামরিক মহড়ায় ৮টি বোমা দিয়ে ড্রোন গাজা সফলভাবে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ফোর্স।
ইরানের আইআরজিসি অ্যারোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার আমির আলী হাজিজাদেহ বলেন,‘দেশে উচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে সীমান্তে শত্রুদের মোকাবিলা করা ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে ড্রোনটি। এমনকি সন্ত্রাসী, চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে চালানো অভিযানেও কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।’
১৫ মাসের বেশি সময়কার ইসরাইলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নামে নামকরণ করা ইরানের সবচেয়ে বড় এই ড্রোনটি ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে সক্ষম। টানা ৩৫ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম ড্রোনটি আবিষ্কারের কথা সামনে আসে ২০২১ সালে। পরে ২০২৪ সালের মার্চে কাতারের দোহায় হওয়া আন্তর্জাতিক অস্ত্র মেলায় ড্রোনটি প্রকাশ্যে এনে তাবৎ দুনিয়ায় কাঁপন ধরিয়ে দেয় ইরান।
২০২৩ সালে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আমদানি-রপ্তানিতে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে ইরানি অস্ত্র উৎপাদন ও বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ।
যে তালিকায় উল্লেখযোগ্য অস্ত্রই হলো ড্রোন। এমনকি চলতি মাসের ১৩ তারিখ দেশটির সেনাবাহিনীতে যুক্ত করা হয় এক হাজার নতুন অত্যাধুনিক ড্রোন।