ঢাকা ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঢাবির অধীনে থাকছে না সাত কলেজ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২৪-২০২৫ সেশন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত থাকছে না সরকারি সাত কলেজ। আজ (সোমবার, ২৭ জানুয়ারি) সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমানে যাদের কোর্স বাকি আছে, তাদেরটা ঢাবির অধীনেই শেষ হবে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ সেশন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের ভর্তি বন্ধ হচ্ছে। এদিন বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদের কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে সভা শুরু হয়।

রবিবারের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুঃখ প্রকাশ করছে বলে জানান ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

বৈঠকে মোট ৫টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ইতোমধ্যে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে ধৈর্যধারণ, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে ঢাবি উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জরুরি সভায় যে পাঁচটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে—

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

২. অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে এ বছর থেকেই অর্থাৎ ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি না নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

৩. শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়।

৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আসন সংখ্যা ও ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

৫. যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে, যাতে তাদের শিক্ষাজীবন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় ।

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য সভা সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বানও জানানো হয়।

এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদের কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে সভা শুরু হয়।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ছিদ্দিকুর রহমান খান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আব্দুস সালাম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন রাশেদা ইরশাদ নাসির, প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ আব্দুলাহ আল মামুনসহ বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুন্সী শামস উদ্দীন আহমেদ, হিসাব পরিচালক সাইফুল ইসলাম, কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) আমজাদ হোসেন শিশির এবং সাত কলেজের অধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঢাবির অধীনে থাকছে না সাত কলেজ

আপডেট সময় : ০৪:০২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

২০২৪-২০২৫ সেশন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত থাকছে না সরকারি সাত কলেজ। আজ (সোমবার, ২৭ জানুয়ারি) সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমানে যাদের কোর্স বাকি আছে, তাদেরটা ঢাবির অধীনেই শেষ হবে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ সেশন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের ভর্তি বন্ধ হচ্ছে। এদিন বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদের কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে সভা শুরু হয়।

রবিবারের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুঃখ প্রকাশ করছে বলে জানান ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

বৈঠকে মোট ৫টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ইতোমধ্যে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে ধৈর্যধারণ, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে ঢাবি উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জরুরি সভায় যে পাঁচটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে—

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

২. অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে এ বছর থেকেই অর্থাৎ ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি না নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

৩. শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়।

৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আসন সংখ্যা ও ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

৫. যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে, যাতে তাদের শিক্ষাজীবন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় ।

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য সভা সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বানও জানানো হয়।

এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদের কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে সভা শুরু হয়।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ছিদ্দিকুর রহমান খান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আব্দুস সালাম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন রাশেদা ইরশাদ নাসির, প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ আব্দুলাহ আল মামুনসহ বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুন্সী শামস উদ্দীন আহমেদ, হিসাব পরিচালক সাইফুল ইসলাম, কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) আমজাদ হোসেন শিশির এবং সাত কলেজের অধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।