হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেলেন অভিনেত্রী পরী মণি
- আপডেট সময় : ১২:২৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এক দিনের মাথায় জামিন পেয়েছেন চলচ্চিত্র নায়িকা পরী মণি। আজ সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন সকালে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন পরী মণি। তাঁর পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন পরীমণি। অভিনেত্রী বলেন, একদম শুরু থেকেই আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আর বিশ্বাস ছিল। আর সেই বিশ্বাস থেকেই এখানে। আপনারা সবাই শুরু থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়েছেন। আমাকে নিয়ে আপনারা ভেবেছেন সেটা দেখে নিজের কষ্ট ভুলে গেছি।
অভিনেত্রী আরও বলেন, সবাইকে ধন্যবাদ আমার সঙ্গে এভাবে থাকার জন্য। আমি কাল থেকে আপনাদের ভালোবাসা পাচ্ছি। আপনাদের এই ভালোবাসার প্রতি আমি সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। আমাই আবারো বলতে চাই যে, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আর এ কারণেই একদম শেষ অবধি আমি বিশ্বাস রাখতে চাই। আমি বিশ্বাস করি আমি ন্যায় বিচার পাবো। আর আপনারা আমার সঙ্গে থাকবেন। আপনাদের ভালোবাসা নিয়েই আমি জিততে চাই।
এর আগে রোববার (২৬ জানুয়ারি) মামলার শুনানিতে হাজির না হওয়ায় পরী মণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। পাশাপাশি চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ বিষয়ে অভিনেত্রীর আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী বলেছিলেন, ‘আজ (রোববার) মামলার চার্জ শুনানি ছিল। অসুস্থ থাকায় পরী মণি আদালতে হাজির হতে পারেননি। অপর আসামি জিমির পক্ষেও সময় আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করেন। তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন।’
২০২২ সালের ৬ জুলাই বেশ কিছু অভিযোগ তুলে পরী মণির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন নাসির উদ্দিন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরী মণি ও তাঁর কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরী মণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন দামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরী মণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।
অভিযোগনামায় আরও বলা হয়, পরী মণি ও তাঁর সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরী মণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
এ ছাড়া ২০২১ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর বনানী বাসা থেকে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হন পরী মণি। পরে বনানী থানায় দায়ের করা একটি মাদক মামলায় তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। দীর্ঘ ২৭ দিন পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।