পর্যায়ক্রমে সব মাদ্রাসা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত
- আপডেট সময় : ০৯:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে
পর্যায়ক্রমে সকল মাদ্রাসা জাতীয়করণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মাসুদুল হক। তিনি বলেছেন, ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ ছয় দফা বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করেছি। যাচাই বছাই শেষে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে মাদ্রাসাগুলো জাতীয়করণ করা হবে। পরে সরকারের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে টানা তিনদিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন সারাদেশ থেকে আসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা। দাবি মেনে নিতে সরকারকে মঙ্গলবার পর্যন্ত আলিটমেটাম দেন তারা।
শিক্ষকদের দেয়া বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানে মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে বসেন শিক্ষক প্রতিনিধিরা। প্রায় দেড় ঘন্টার বৈঠক শেষে শাহবাগে এসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মাসুদুল হক জানান, যাচাই বছাই শেষে জুন মাসের মধ্যে জাতীয়করণ করা হবে দেশের সব ইবতেদায়ী মাদ্রাসা।
এস.এম. মাসুদুল হক বলেন, আপনাদের যে সমস্ত ছয় দফা দাবি ছিল সেই ছয় দফা দাবিসহ আরও অতিরিক্ত বেশ কিছু বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। আপনাদের প্রথম দফাতে সকল প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের যে দাবি ছিল তার সাথে একমত পোষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশের সকল ইবতেদায়ী মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে।
আপনাদের আরও বেশ কিছু দাবি ছিল যেমন- একাডেমিক স্বীকৃতি বন্ধ আছে সেটা আমরা এই জুন মাসের মধ্যে চালু করব। আমরা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আপনাদের সকল ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোকে এমপিওভুক্তকরণ ২০২৫ সাল থেকেই শুরু করব।
প্রাথমিক পর্যায়ে যে ১৫১৯টি অনুদানভুক্ত প্রাথমিক স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে সেগুলোসহ অন্যান্য সকল মাদ্রাসা জাতীয়করণ করব।
সরকারের এই আশ্বাস পেয়ে শিক্ষক প্রতিনিধিরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয়করণ করা না হলে পহেলা জুলাই থেকে আবারো কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষক নেতারা।
১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় চার দশক ধরে বেতন বঞ্চিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ২০ হাজার শিক্ষক। অনেক শিক্ষক দীর্ঘকাল চাকরি করে বিনা বেতনে গিয়েছেন অবসরেও। এই বৈষম্য থেকে দ্রুত মুক্তি চান ইবতেদায়ী মাদ্রসার শিক্ষকরা।