ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইসরাইলে বন্দি ১৪ হাজার ফিলিস্তিনি ও ৩০০ শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরাইলের কারাগারে বন্দি আছেন প্রায় ১৪ হাজার ফিলিস্তিনি। যাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা তিন শতাধিক। সামরিক আদালতে বিচারের কারণে অনেকেই বঞ্চিত মানবাধিকার থেকে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, দখলকৃত ভূখণ্ডে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতেই প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শিশুকে গ্রেপ্তার করে ইসরাইল।

১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি। তিন দেশের মধ্যস্ততায় এই চুক্তিতে ঘরে ফিরেছেন কমপক্ষে ২৯০ কারাবন্দি ফিলিস্তিনি। যার মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্কের সংখ্যা ২৩ জন।

ইসরাইলের কারাগারে এখনো বন্দি প্রায় ১৪ হাজার ফিলিস্তিনি। যার মধ্যে রাজনৈতিক বন্দির সংখ্যা ১০ হাজার ৪০০ জন। বাকিরা কোনো অভিযোগ ছাড়াই বন্দি আছেন বছরের পর বছর ধরে। মোট কারাবন্দির মধ্যে ৩ শতাধিকই অপ্রাপ্তবয়স্ক। নারীর সংখ্যা ৮৮ জন।

কেন অপ্রাপ্তবয়স্ক ফিলিস্তিনিদের কারাবন্দি করছে ইসরাইল, এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আল জাজিরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে পার্লামেন্টে নতুন আইন পাস করে নেতানিয়াহু নেতৃত্বাধীন সরকার। যেখানে উল্লেখ করা হয়, হত্যা ও হত্যা চেষ্টাসহ পাথর ছোড়া এমনকি ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেয়ার অপরাধেও দণ্ডিত করা যাবে অনুর্ধ্ব ১২ বছরের শিশুদের।

আগের আইনে শিশু গ্রেপ্তারের বয়সসীমা ছিল কমপক্ষে ১৪ বছর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফিলিস্তিনিদের দখলকৃত ভূখণ্ডে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতেই প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শিশুকে গ্রেপ্তার করে ইসরাইল।

ফিলিস্তিনের ডিসিআই পরিচালক আয়েদ আবু ইকতাইশ বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের গ্রেপ্তার অভিযান চালানোর মূল কারণ দমনপীড়ন ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। আর এতে টুল হিসেবে ব্যবহার করা হয় রাষ্ট্রযন্ত্র। অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক নারী, পুরুষ এমনকি ফিলিস্তিনি শিশুও রয়েছে।’

সিভিল কোর্ট ও মিলিটারি কোর্ট, এই দ্বৈত আইনি ব্যবস্থা বিদ্যমান ইসরাইলে। দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের বিচার চলে সামরিক আদালতে। যেখানে ভুলণ্ঠিত হয় সকল মানবাধিকার। পরিকল্পিত এই বিচারহীনতার কারণে অনেক ফিলিস্তিনি ইসরাইলের কারাগারে বন্দি আছেন কয়েক দশক ধরে।

৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে ২৬ ইসরাইলি জিম্মির বিপরীতে মুক্তি দেয়া হবে কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে। পরবর্তী বিনিময় অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার। ফিলিস্তিনিদের আশা, চুক্তি কার্যকরের মাধ্যমে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ স্থায়ীভাবে অবসান হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরাইলে বন্দি ১৪ হাজার ফিলিস্তিনি ও ৩০০ শিশু

আপডেট সময় : ১২:৪৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

ইসরাইলের কারাগারে বন্দি আছেন প্রায় ১৪ হাজার ফিলিস্তিনি। যাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা তিন শতাধিক। সামরিক আদালতে বিচারের কারণে অনেকেই বঞ্চিত মানবাধিকার থেকে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, দখলকৃত ভূখণ্ডে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতেই প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শিশুকে গ্রেপ্তার করে ইসরাইল।

১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি। তিন দেশের মধ্যস্ততায় এই চুক্তিতে ঘরে ফিরেছেন কমপক্ষে ২৯০ কারাবন্দি ফিলিস্তিনি। যার মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্কের সংখ্যা ২৩ জন।

ইসরাইলের কারাগারে এখনো বন্দি প্রায় ১৪ হাজার ফিলিস্তিনি। যার মধ্যে রাজনৈতিক বন্দির সংখ্যা ১০ হাজার ৪০০ জন। বাকিরা কোনো অভিযোগ ছাড়াই বন্দি আছেন বছরের পর বছর ধরে। মোট কারাবন্দির মধ্যে ৩ শতাধিকই অপ্রাপ্তবয়স্ক। নারীর সংখ্যা ৮৮ জন।

কেন অপ্রাপ্তবয়স্ক ফিলিস্তিনিদের কারাবন্দি করছে ইসরাইল, এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আল জাজিরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে পার্লামেন্টে নতুন আইন পাস করে নেতানিয়াহু নেতৃত্বাধীন সরকার। যেখানে উল্লেখ করা হয়, হত্যা ও হত্যা চেষ্টাসহ পাথর ছোড়া এমনকি ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেয়ার অপরাধেও দণ্ডিত করা যাবে অনুর্ধ্ব ১২ বছরের শিশুদের।

আগের আইনে শিশু গ্রেপ্তারের বয়সসীমা ছিল কমপক্ষে ১৪ বছর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফিলিস্তিনিদের দখলকৃত ভূখণ্ডে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতেই প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শিশুকে গ্রেপ্তার করে ইসরাইল।

ফিলিস্তিনের ডিসিআই পরিচালক আয়েদ আবু ইকতাইশ বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের গ্রেপ্তার অভিযান চালানোর মূল কারণ দমনপীড়ন ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। আর এতে টুল হিসেবে ব্যবহার করা হয় রাষ্ট্রযন্ত্র। অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক নারী, পুরুষ এমনকি ফিলিস্তিনি শিশুও রয়েছে।’

সিভিল কোর্ট ও মিলিটারি কোর্ট, এই দ্বৈত আইনি ব্যবস্থা বিদ্যমান ইসরাইলে। দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের বিচার চলে সামরিক আদালতে। যেখানে ভুলণ্ঠিত হয় সকল মানবাধিকার। পরিকল্পিত এই বিচারহীনতার কারণে অনেক ফিলিস্তিনি ইসরাইলের কারাগারে বন্দি আছেন কয়েক দশক ধরে।

৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে ২৬ ইসরাইলি জিম্মির বিপরীতে মুক্তি দেয়া হবে কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে। পরবর্তী বিনিময় অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার। ফিলিস্তিনিদের আশা, চুক্তি কার্যকরের মাধ্যমে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ স্থায়ীভাবে অবসান হবে।