পারিশ্রমিক ইস্যুতে দুর্বার রাজশাহীই কেবল নয়, স্বেচ্ছাচারিতা করছে চিটাগাং কিংসও। দেশি পারভেজ ইমনের পর দুই বিদেশি ক্রিকেটারকে চুক্তির এক টাকাও শোধ করেনি দলটি। টাকা না পেয়ে দেশে ফিরে যেতে চাইলেও কোনো সহায়তা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তারা। অভিযোগ স্বীকার করে দ্রুতই পারিশ্রমিক পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধার সামির কাদের চৌধুরী।

বিপিএলের এগারতম আসর যেন রূপ নিয়েছে রঙ্গ তামাশার মঞ্চে। দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক আর একের পর এক চেক জালিয়াতির ঘটনায় ঢাকা পড়েছে মাঠের ক্রিকেট।

কেবল রাজশাহীই নয়, পারিশ্রমিক নিয়ে নয়-ছয় করছে আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজি চিটাগাং কিংসও। জাতীয় দলের তরুণ ওপেনার পারভেজ ইমন কোনো টাকা না পেয়ে মাঝপথে দল ছেড়েছেন। জানা গেছে, আসর শেষ হতে চললেও এখনো কোনো কানাকড়িই হাতে পাননি চিটাগাং কিংসের দুই বিদেশি ক্রিকেটারও।

আফগান অলরাউন্ডার জুবাইদ আকবরি, চিটাগংয়ের হয়ে এখন পর্যন্ত সুযোগ পেয়েছেন এক ম্যাচে। পাশে থাকা আরেক ক্রিকেটার পাকিস্তানের খোয়াজা নাফি, এখন পর্যন্ত একাদশে সুযোগ না মিললেও ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে চুক্তি করেই এসেছেন বিপিএলে। তবে এই দুই ক্রিকেটারের অভিযোগ, এখন পর্যন্ত পারিশ্রমিকের কোনো অর্থই পাননি তারা।

এ ব্যাপারে দুই ক্রিকেটার জানান, পারিশ্রমিকের জন্য মালিকের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে হলেও লাভের লাভ হয়নি। বারবার তারিখ দিলেও পরিশোধ হয়নি প্রাপ্য পারিশ্রমিক। আফগান ক্রিকেটার জুবাইদের দাবি, অর্থ না পেয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টকে। তাতেও কোনো সহায়তা করা হয়নি দলটির মালিক পক্ষ থেকে।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধার সামির কাদের চৌধুরীর সাথে। অভিযোগ স্বীকার করে দ্রুতই পারিশ্রমিক পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

প্রথমে রাজশাহী, এবার চট্টগ্রাম! বিদেশি ক্রিকেটারদের সাথে পারিশ্রমিক ইস্যুতে দলগুলোর টালবাহানা বন্ধই হচ্ছে না। কোনোভাবেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর এমন স্বেচ্ছাচারিতা থামাতে পারছে না বিসিবিও। এভাবে চলতে থাকলে পরবর্তীতে বিপিএলে বিশ্ব তারকাদের দেখা মিলবে কিনা, প্রশ্নটা থেকেই যায়।