সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় চীনের পুলিশ কুকুর ‘ফুজাই’। কোরগি জাতের কুকুরটির বিভিন্ন ভিডিও বেশ পছন্দ নেটিজেনদের কাছে। তবে সম্প্রতি ফুজাইকে সামান্য অপরাধে বড় শাস্তি পেতে হয়েছে।
সাউথ চায়না মর্নি পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, পুলিশ কুকুরটি ডিউটির সময় ঘুমিয়ে পড়েছিল এবং নিজের খাবারের বাটিতে প্রস্রাব করেছিল। আর এই আচরণের জন্য তার বছর শেষের বোনাস কিছুটা কেটে নেওয়া হয়েছে।
ফুজাইয়ের জন্ম ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে শানডং প্রদেশের উইফাং পুলিশ কুকুর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নেওয়া হয় তাকে। এরপর সেখানে ফুজাইকে বিস্ফোরক শনাক্তকরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তার প্রতিভা দেখে ২০২৪ সালের অক্টোবরে পুলিশ কুকুর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
শারীরিক গঠন অনুযায়ী কম উচ্চতার হলেও দক্ষতা এবং আদুরে স্বভাবের কারণে বেশ জনপ্রিয়তা ফুজাইয়ের। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ছবি এবং ভিডিও নিয়মিত শেয়ার করা হয়। ফুজাইয়ের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের নাম ‘কোরগি পুলিশ ডগ ফুজাই অ্যান্ড ইটস কমরেডস’। অ্যাকাউন্টে ফুজাই এবং অন্যান্য পুলিশ কুকুরের কাজের আপডেট দেওয়া হয়। তার ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় চার লাখ।
২০২৪ সালে ফুজাই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা সংক্রান্ত কাজ করেছে। তার এই প্রচেষ্টার জন্য পুরস্কৃতও করা হয়। পুরস্কার হিসেবে তাকে লাল রঙের ফুল, খেলনা এবং টিনজাত খাবার দেওয়া হয়। তবে কিছু পরেই তার অস্বাভাবিক আচরণের খবর জানা যায়। এরপর শাস্তি হিসেবে কিছু পুরস্কার নিয়ে নেওয়া হয়।
চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চাকরিতে ফুজাই খুব ভালো করেছে বলে তাকে জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা জানান, ফুজাই নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে দায়িত্ব। কিন্তু তার সাম্প্রতিক আচরণ সন্তোষজনক নয়। কর্মক্ষেত্রে ঘুমিয়ে পড়া এবং খাবারের জন্য বরাদ্দ বাটিতে প্রস্রাব করায় তার বোনাস কিছুটা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এর পর ওই পুলিশ সদস্য ফুজাইয়ের সামনে থেকে টিনজাত খাবার আর খেলনাটি সরিয়ে নিয়ে যান।
ভিডিওটি চীনের সোশ্যাল মিডিয়া ডুয়িনে ভাইরাল হয়েছে। এটি দেখে ফুজাইয়ের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন অসংখ্য অনুসারী। ফুজাইয়ের বোনাস পুনর্বহালের জন্য দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ছোটখাটো ভুলের জন্য বোনাস কেটে নেওয়ার সমালোচনা করেন অনেকে। এরপর ফুজাইয়ের আরেকটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। যেখানে দেখা যায়, ফুজাইকে কেটে নেওয়া বোনাস ফিরিয়ে দেওয়া না হলেও অন্য একটি উপহার দেওয়া হয়েছে।