বেলারুশের দীর্ঘদিনের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বিতর্কিত একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশের নির্বাচন কমিশন। এই জয়ের মাধ্যমে তিনি সপ্তমবারের মতো ক্ষমতায় আসছেন। খবর আলজাজিরার।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন তাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, লুকাশেঙ্কো ৮৬ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের প্রধান ইগর কারপেঙ্কো বলেন, আপনারা বেলারুশ প্রজাতন্ত্রকে অভিনন্দন জানাতে পারেন। আমরা একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছি।
নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববারের ভোটে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৮৫.৭ শতাংশ। প্রায় ৬.৯ মিলিয়ন মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য যোগ্য ছিলেন।
১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন লুকাশেঙ্কো। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা, পশ্চিমা সরকারগুলো এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই নির্বাচনগুলোকে প্রহসন হিসেবে অভিহিত করে আসছে।
তারপরও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন লুকাশেঙ্কোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বলেছেন, এই নির্বাচন তার প্রতি জনগণের অবিসংবাদিত সমর্থনের প্রমাণ।
ক্রেমলিনের দেয়া এক বিবৃতিতে পুতিন বলেন, নির্বাচনে আপনার সুস্পষ্ট বিজয় আপনার উচ্চ রাজনৈতিক ক্ষমতা এবং বেলারুশের রাজনীতির প্রতি জনগণের অবিসংবাদিত সমর্থনের সাক্ষ্য বহন করে। আপনি সবসময় রুশ মাটিতে স্বাগত ও প্রিয় অতিথি। চুক্তি অনুযায়ী, মস্কোতে আপনাকে শিগগিরই দেখার জন্য আমি অপেক্ষা করছি।
ইউক্রেন যুদ্ধ লুকাশেঙ্কোকে পুতিনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করেছে। এ ছাড়া রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র এখন বেলারুশে মোতায়েন রয়েছে।
পুতিন ছাড়াও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও লুকাশেঙ্কোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য লুকাশেঙ্কোকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন শি জিনপিং।