বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জানিয়েছেন, বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের তুলনায় সুদৃঢ় করা হয়েছে। তিনি জানান, যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ ও সতর্ক রয়েছে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইজতেমা ময়দানে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এসব কথা বলেন। আইজিপি বলেন, এবারের ইজতেমায় অন্তত সাত হাজারের মতো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
আইজিপি বলেন, ‘এবার প্রথম আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ব্রিফিংয়ের পাশাপাশি বুকলেট দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় আরও সুদৃঢ় ভূমিকা রাখতে পারবেন।’
জিএমপির কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান জানান, এবারের ইজতেমায় ওয়াচ টাওয়ার থাকবে ১৬টি। পাঁচ সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা ছক করা হয়েছে। পুরো ইজতেমা মাঠ সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ২০টি মোবাইল পার্টি, ২০টি চেকপোস্ট থাকবে।
ইজতেমা উপলক্ষে ৩১ জানুয়ারি থোকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও জানান জিএমপি কমিশনার।
এর আগে ইজতেমা ময়দান পরিদর্শনে গিয়ে বয়ান মঞ্চ ও বিদেশি খিত্তা পরিদর্শন করেন আইজিপি। এ সময় তাঁর জিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ইজতেমার বিশেষ নিরাপত্তায় পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের পাশাপাশি বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, ক্রাইম সিন ভ্যান, নৌ-টহল ও হেলিকপ্টার টহল থাকবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা ও নাইট ভিশন ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হবে। এ ছাড়া প্রতিটি খিত্তায় পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুরো ইজতেমা ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে।