ঢাকা ০৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশের আইন ঠিক করবে জনগণ, অন্য দেশ নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের আইন নিয়ম ঠিক করবে জনগণ, অন্য কোন দেশ নয়। রাজনীতি মানেই ক্ষমতা নয়, কাউকে গোলাম বানানো নয়। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারী) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, দেশের মানুষকে বিজয়ী করতে হবে এমন লক্ষ্য হওয়া উচিত। সরকার ভুল করতেই পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের সব সিদ্ধান্ত সঠিক হবে এমনটা নয়। সরকারের ভুল শুধরে দিতে রাজনৈতিক দলগুলো কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। সমালোচনার মুখে সরকার ভুল শুধরে নিলে বুঝতে হবে সেটি জনগণের সরকার।

তিনি বলেন, সংস্কার প্রস্তাবগুলো আসছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করার উদ্যোগ নিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার এগিয়ে নিতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান জনগণ মেনে নিয়েছে কিন্তু জুলাই ঘোষণা পত্রে কী থাকবে তা চিন্তা করতে হবে। স্বাধীনতার যুদ্ধের সাথে অন্য কিছুর অবস্থান একসাথে রাখার সুযোগ আছে কিনা তা নিয়ে ভাবতে হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে এবং ফ্যাসিবাদী বিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং এমন কোন সাথে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না যেখানে ঐক্যে ফাটল ধরে। এসময় তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই গণহত্যার জন্য আওয়ামী লীগ দল ও যাদের নেতারা দায়ী তাদের বিচার করতে হবে। বিচারের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিবে কিনা।

ঐক্যমতের সংস্কার জনগণের প্রতিনিধিরা বাস্তবায়ন করবে। সংসদে পাশ হতে হবে। তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ সংস্কার প্রস্তাবে ঐক্যমত হবে সেগুলো থেকে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার চলবে, যেটি হতে পারে স্বল্প মেয়াদি মধ্য মেয়াদি, দীর্ঘ মেয়াদি।

দল গঠন করে নির্বাচিত হবার জন্য যদি সরকারের সব শক্তিকে ব্যবহার করা হয় তাহলে ৫ আগস্টের আকাঙ্ক্ষা ব্যাহত হবে। একনায়কতন্ত্র যেন আর ফিরে না আসে সেজন্য ঐক্যমতের বিকল্প নেই উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের বিদায়ের দিন ৫ আগস্ট হতে পারে আগামী নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত দিন।

এসময় তিনি আরও যোগ করেন, ফ্যাসিবাদ হিসেবে শেখ হাসিনাকে গড়ে তোলার সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে গণমাধ্যমের মালিকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের আইন ঠিক করবে জনগণ, অন্য দেশ নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ

আপডেট সময় : ০৩:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের আইন নিয়ম ঠিক করবে জনগণ, অন্য কোন দেশ নয়। রাজনীতি মানেই ক্ষমতা নয়, কাউকে গোলাম বানানো নয়। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারী) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, দেশের মানুষকে বিজয়ী করতে হবে এমন লক্ষ্য হওয়া উচিত। সরকার ভুল করতেই পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের সব সিদ্ধান্ত সঠিক হবে এমনটা নয়। সরকারের ভুল শুধরে দিতে রাজনৈতিক দলগুলো কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। সমালোচনার মুখে সরকার ভুল শুধরে নিলে বুঝতে হবে সেটি জনগণের সরকার।

তিনি বলেন, সংস্কার প্রস্তাবগুলো আসছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করার উদ্যোগ নিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার এগিয়ে নিতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান জনগণ মেনে নিয়েছে কিন্তু জুলাই ঘোষণা পত্রে কী থাকবে তা চিন্তা করতে হবে। স্বাধীনতার যুদ্ধের সাথে অন্য কিছুর অবস্থান একসাথে রাখার সুযোগ আছে কিনা তা নিয়ে ভাবতে হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে এবং ফ্যাসিবাদী বিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং এমন কোন সাথে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না যেখানে ঐক্যে ফাটল ধরে। এসময় তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই গণহত্যার জন্য আওয়ামী লীগ দল ও যাদের নেতারা দায়ী তাদের বিচার করতে হবে। বিচারের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিবে কিনা।

ঐক্যমতের সংস্কার জনগণের প্রতিনিধিরা বাস্তবায়ন করবে। সংসদে পাশ হতে হবে। তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ সংস্কার প্রস্তাবে ঐক্যমত হবে সেগুলো থেকে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার চলবে, যেটি হতে পারে স্বল্প মেয়াদি মধ্য মেয়াদি, দীর্ঘ মেয়াদি।

দল গঠন করে নির্বাচিত হবার জন্য যদি সরকারের সব শক্তিকে ব্যবহার করা হয় তাহলে ৫ আগস্টের আকাঙ্ক্ষা ব্যাহত হবে। একনায়কতন্ত্র যেন আর ফিরে না আসে সেজন্য ঐক্যমতের বিকল্প নেই উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের বিদায়ের দিন ৫ আগস্ট হতে পারে আগামী নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত দিন।

এসময় তিনি আরও যোগ করেন, ফ্যাসিবাদ হিসেবে শেখ হাসিনাকে গড়ে তোলার সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে গণমাধ্যমের মালিকরা।