পদত্যাগ করলেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
- আপডেট সময় : ১০:৩৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
চার বছর দায়িত্ব পালনের পর জিওফ অ্যালারডাইস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। ২০২০ সালে মানু সাহনি সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর অ্যালারডাইস দায়িত্ব নেন এবং ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে পূর্ণকালীন সিইও হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) আইসিসি এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে। ক্রিকইনফো
আইসিসিতে ২০১২ সাল থেকে কাজ করা অ্যালারডাইস শুরুতে জেনারেল ম্যানেজার (ক্রিকেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ায় কাজ করেছেন। আইসিসি সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ক্রিকেটের বৈশ্বিক প্রসার এবং আইসিসি সদস্যদের জন্য একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক ভিত্তি তৈরি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
অ্যালারডাইস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। ক্রিকেটের বৈশ্বিক প্রসার থেকে শুরু করে আইসিসি সদস্যদের জন্য একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক ভিত্তি তৈরি করতে আমি গর্বিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আইসিসি এবং বৈশ্বিক ক্রিকেট সম্প্রদায়ের জন্য আমি শুভকামনা জানাই।’
অ্যালারডাইসের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এলো, যখন জয় শাহ আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। শাহ, যিনি বিসিসিআইয়ের সাবেক সেক্রেটারি, ১ ডিসেম্বর গ্রেগ বার্কলের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।
আইসিসির প্রেসিডেন্ট জয় শাহ বলেন, ‘জিওফের নেতৃত্ব ও প্রতিশ্রুতির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। তার প্রচেষ্টা ক্রিকেটকে বৈশ্বিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমরা তার ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই।’
জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে অ্যালারডাইসের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে ছিল- ডিআরএস নিয়ে বিসিসিআইয়ের প্রাথমিক উদ্বেগ কাটিয়ে এটিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানদণ্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, অবৈধ বোলিং অ্যাকশন প্রক্রিয়া মানসম্মত করা ও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ওডিআই সুপার লিগ তৈরি করা।
২০২১ সালে সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার সময় ক্রিকেট কোভিড-১৯ মহামারি থেকে বের হওয়ার কঠিন সময় পার করছিল। তার অন্যতম বড় সাফল্য ছিল ক্রিকেটকে অলিম্পিক গেমসে অন্তর্ভুক্ত করা। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো আইসিসি বিশ্ব ইভেন্ট আয়োজন করা, যদিও সেই টুর্নামেন্টের ব্যবস্থাপনা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।
আইসিসি জানিয়েছে, বোর্ড শিগগিরই তার উত্তরসূরি নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু করবে। তবে অ্যালারডাইস চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।