বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার পলাশবাড়ি পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। দলের হেভিওয়েট নেতাদের নাম ব্যবহার করে তিনি প্রতারণা করছেন। মানুষকে চাকরি ও ব্যাংকের লোন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, বাড়ি দখল, হয়রানি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছেন তিনি।
ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে বুধবার (২৯ জানুয়ারী) গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে প্রতারক সন্ত্রাসী আবুল কালাম আজাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, দল থেকে বহিষ্কার এবং প্রাপ্য টাকা, বাড়ি উদ্ধারসহ নিরাপত্তার জন্য সরকার ও প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সেনাবাহিনীর সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার পলাশবাড়ির আসমতপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই চাকরি থেকে অবসর নেন। বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে গরুর খামার করার জন্য তিন কোটি টাকার লোন পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন আবুল কালাম আজাদ। তার প্রস্তাবে রাজি হলে তিনি কৌশলে ২০২২ সালের ২৫ ও ২৮ আগস্ট দুদফায় রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ২৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ব্যাংক থেকে লোন না পাওয়ার কারণে হতাশ হয়ে পড়েন রফিকুল ইসলাম। তিনি প্রায় নিস্ব অবস্থায় পরিবার পরিজন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। টাকার অভাবে তিনি স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এ নিয়ে প্রশাসনসহ দলের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের কাছে অভিযোগ জানিয়েও প্রতিকার মেলেনি। উপরন্ত পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন আবুল কালাম আজাদ।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে পলাশবাড়ি পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রতারণা-জালিয়াতি, হুমকি-ধামকি ও দখলদারিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, ৬ আগস্ট পলাশবাড়ীর কালিবাড়ি এলাকায় ব্যবসায়ী গোলাম আজমের সাত শতক জমিসহ বাসা-বাড়ি দখল করে নেয় আজাদ। বাড়ি হারিয়ে গোলাম আজম আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানান অপর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী গোলাম আজম। এমনকি ২০০৭ সালেও আজাদ জমির জন্য তার বাবাকে হত্যাচেষ্টা চালান। এছাড়াও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মোছা. শেলী বেগম, মোছা. শাপলা বেগম, সিমা খাতুন।