ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসর। শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আয়োজন। এতে অংশ গ্রহণ করবেন ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে শুরায়ী নেজামের তাবলীগের সাথীরা। ইজতেমা উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মুসল্লিদের সুবিধার্থে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।

ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল বুধবার থেকেই প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন খিত্তা ও পয়েন্টের জিম্মাদার মুসল্লিরা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। যারা ইজতেমা ময়দানে এসেছেন তারা তাদের নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান করছেন। দেশ-বিদেশের মুসল্লিদের এ ঢল থাকবে শুক্রবার পর্যন্ত।

এবারের ইজতেমা ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে শুরায়ী নেজামের অধীনে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘এবার প্রথম শুরায়ী নেজামের অধীনে দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বে ঢাকাসহ ৪১ জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবে। এই পর্বে অংশ গ্রহণ করছে গাজীপুর, টঙ্গী, ধামরাই, গাইবান্ধা, মিরপুর, কাকরাইল, নাটোর, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, দোহার, ডেমরা, কাকরাইল, নড়াইল, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নবাবগঞ্জ, নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, নেত্রকোণা, শেরপুর, ফরিদপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পিরোজপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, রাজবাড়ী জেলার মুসল্লিরা। এ ছাড়া এরই মধ্যে ৫০টির বেশি দেশের বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। তারা মূল ময়দানের পশ্চিম পাশে তাদের নির্ধারিত কামরায় অবস্থান করছেন।’

হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও বলেন, তাবলিগের মেহনত একটি দ্বীনের অন্যতম মেহনত এবং দ্বীনের ধারক-বাহক হচ্ছেন ওলামায়ে কেরাম। ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ভাইয়েরা উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে থেকেই তাবলিগের মেহনত করতে চান। এই সংখ্যাটা এত ব্যাপক যে, টঙ্গী মাঠের ১৬০ একর জায়গায় তাদের অবস্থান করাটা খুবই কষ্টদায়ক হয়ে যায়। এ জন্য এবার দুই ধাপে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এদিকে, ইজতেমা সফল ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। গাজীপুর সিটি করপোরেশন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ডেসকো, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনসহ নানা সেবা প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

এ ব্যাপারে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজোয়ান হোসেন বলেন, এবার মুসল্লিদের সুবিধার্থে ৯ হাজার পাকা টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের ওজু, গোসলের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করা হবে।

এ ছাড়া ইজতেমার নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। পুরো ময়দান ৫টি সেক্টরে ভাগ করে কাজ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ব্যাপারে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেন, এবার ইজতেমায় পোশাকধারী পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তত ৭ হাজার সদস্য থাকবে। ময়দান এলাকায় র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল ছাড়াও বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড থাকবে। সাদা পোশাকেও থাকবে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এ ছাড়া থাকবে ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার, সেখান থেকে বাইনোকুলার দিয়ে পুরো মাঠ দেখা হবে, ১৫টি সাব-কন্ট্রোল কক্ষ থাকবে, সাব-কন্ট্রোল কক্ষে যেকোনো রিপোর্ট করলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারব।

কমিশনার বলেন, ‘ড্রোনের মাধ্যমে আমরা পুরো এলাকা মনিটর করব, যেন কোথাও কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। পুরো মাঠ ৩৩৫টি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন থাকবে, ৩৫টি রুফটপ থাকবে, স্থির ব্রিগেড থাকবে ৫৩টি, ২০টি মোবাইল পার্টি সার্বক্ষণিক ডিউটিতে থাকবে, ২০টি চেকপোস্ট থাকবে- তাদের কাজ হবে যেন দুষ্কৃতকারী ময়দানে প্রবেশ করতে না পারে।’

তুরাগ তীরের এ ময়দানকে ঘিরে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, ফুটপাত উচ্ছেদ করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে, ট্রাফিক ব্যবস্থা সুন্দর হওয়ার জন্য ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক এ সড়ক দিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মোনাজাতের দিন কোনো গাড়ি চলতে দেব না ইজতেমা এলাকায়, সেখানে গাড়ি চলাচল মুক্ত রাখা হবে, যেন মুসুল্লিদের কোনো সমস্যা না হয়।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এরপর আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদপন্থিদের ইজতেমা শুরু হবে, যা ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমা

আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসর। শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আয়োজন। এতে অংশ গ্রহণ করবেন ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে শুরায়ী নেজামের তাবলীগের সাথীরা। ইজতেমা উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মুসল্লিদের সুবিধার্থে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।

ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল বুধবার থেকেই প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন খিত্তা ও পয়েন্টের জিম্মাদার মুসল্লিরা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। যারা ইজতেমা ময়দানে এসেছেন তারা তাদের নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান করছেন। দেশ-বিদেশের মুসল্লিদের এ ঢল থাকবে শুক্রবার পর্যন্ত।

এবারের ইজতেমা ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে শুরায়ী নেজামের অধীনে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘এবার প্রথম শুরায়ী নেজামের অধীনে দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বে ঢাকাসহ ৪১ জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবে। এই পর্বে অংশ গ্রহণ করছে গাজীপুর, টঙ্গী, ধামরাই, গাইবান্ধা, মিরপুর, কাকরাইল, নাটোর, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, দোহার, ডেমরা, কাকরাইল, নড়াইল, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নবাবগঞ্জ, নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, নেত্রকোণা, শেরপুর, ফরিদপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পিরোজপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, রাজবাড়ী জেলার মুসল্লিরা। এ ছাড়া এরই মধ্যে ৫০টির বেশি দেশের বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। তারা মূল ময়দানের পশ্চিম পাশে তাদের নির্ধারিত কামরায় অবস্থান করছেন।’

হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও বলেন, তাবলিগের মেহনত একটি দ্বীনের অন্যতম মেহনত এবং দ্বীনের ধারক-বাহক হচ্ছেন ওলামায়ে কেরাম। ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ভাইয়েরা উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে থেকেই তাবলিগের মেহনত করতে চান। এই সংখ্যাটা এত ব্যাপক যে, টঙ্গী মাঠের ১৬০ একর জায়গায় তাদের অবস্থান করাটা খুবই কষ্টদায়ক হয়ে যায়। এ জন্য এবার দুই ধাপে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এদিকে, ইজতেমা সফল ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। গাজীপুর সিটি করপোরেশন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ডেসকো, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনসহ নানা সেবা প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

এ ব্যাপারে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজোয়ান হোসেন বলেন, এবার মুসল্লিদের সুবিধার্থে ৯ হাজার পাকা টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের ওজু, গোসলের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করা হবে।

এ ছাড়া ইজতেমার নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। পুরো ময়দান ৫টি সেক্টরে ভাগ করে কাজ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ব্যাপারে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেন, এবার ইজতেমায় পোশাকধারী পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তত ৭ হাজার সদস্য থাকবে। ময়দান এলাকায় র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল ছাড়াও বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড থাকবে। সাদা পোশাকেও থাকবে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এ ছাড়া থাকবে ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার, সেখান থেকে বাইনোকুলার দিয়ে পুরো মাঠ দেখা হবে, ১৫টি সাব-কন্ট্রোল কক্ষ থাকবে, সাব-কন্ট্রোল কক্ষে যেকোনো রিপোর্ট করলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারব।

কমিশনার বলেন, ‘ড্রোনের মাধ্যমে আমরা পুরো এলাকা মনিটর করব, যেন কোথাও কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। পুরো মাঠ ৩৩৫টি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন থাকবে, ৩৫টি রুফটপ থাকবে, স্থির ব্রিগেড থাকবে ৫৩টি, ২০টি মোবাইল পার্টি সার্বক্ষণিক ডিউটিতে থাকবে, ২০টি চেকপোস্ট থাকবে- তাদের কাজ হবে যেন দুষ্কৃতকারী ময়দানে প্রবেশ করতে না পারে।’

তুরাগ তীরের এ ময়দানকে ঘিরে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, ফুটপাত উচ্ছেদ করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে, ট্রাফিক ব্যবস্থা সুন্দর হওয়ার জন্য ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক এ সড়ক দিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মোনাজাতের দিন কোনো গাড়ি চলতে দেব না ইজতেমা এলাকায়, সেখানে গাড়ি চলাচল মুক্ত রাখা হবে, যেন মুসুল্লিদের কোনো সমস্যা না হয়।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এরপর আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদপন্থিদের ইজতেমা শুরু হবে, যা ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।