কোচ থাকলে গণঅবসরের হুমকি ১৮ খেলোয়াড়ের
- আপডেট সময় : ০৯:১৯:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে
হেড কোচ পিটার বাটলারকে নিয়ে নারী ফুটবলারদের আপত্তি অনেক দিন ধরেই, বিশেষ করে সিনিয়র ফুটবলাররা। তাঁর অধীনে সর্বশেষ সাফের আগেও অনুশীলন বর্জন করেছিলেন জাতীয় দলের নারী ফুটবলাররা। যদিও তাঁর অধীনেই সাফ জেতে বাংলাদেশ। সেই সাফল্যের পর বাটলারের চুক্তিও নবায়ন করে বাফুফে। কিন্তু সেই বাটলারের বিদায় দেখতে চেয়েই এবার গণ অবসরের হুমকি দিয়েছেন মেয়েদের দলের ১৮ ফুটবলার।
কোচ পিটার বাটলার দায়িত্বে বহাল থাকলে খেলবেন না সাবিনা খাতুনরা। আজ বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই ঘোষণা দেন সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমাসহ ১৮ ফুটবলার।
পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে মানসিক হয়রানি ও উৎপীড়নসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাঁর অধীনে অনুশীলন ক্যাম্পে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়েরা।
কোচ বাটলারের বিরুদ্ধে মেয়েদের দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিদ্রোহের খবর নতুন নয়। গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ দলের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অভিযানের সময়ই এসব নিয়ে আলোচনা উঠেছিল। কিন্তু এবার সব কিছুর চূড়ান্ত রূপ মেয়েদের অবসর নেওয়ার হুমকি।
আজ সকালে কোচ বাটলারের জিম সেশনে বাফুফে ভবনে অবস্থিত ক্যাম্পে থাকা ২৯ জনের মধ্যে ১২ জন অংশ নিয়েছেন। বাকি ১৭ জন আজ সন্ধ্যায় বাফুফে ভবনের নিচে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন।
‘নারী ফুটবল দলের হেড কোচ পিটার বাটলার ইস্যুতে আমাদের অবস্থান, প্রশ্ন এবং যত অভিযোগ’ – শিরোনামের এই বক্তব্যে সই করেন সাবিনা, মনিকা, শামসুন্নাহার, সানজিদা, ঋতুপর্ণা, মাসুরাসহ ১৮ সিনিয়র ফুটবলার।
লিখিত বক্তব্যে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে শেষে লেখা হয়, ‘আমরা আশা করছি বাফুফের মাননীয় সভাপতি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে আশু সমাধানের ব্যবস্থা নেবেন। এর আগ পর্যন্ত আমরা পিটারের অধীনে কোনো ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশ নেব না।’
বাটলারের বিষয়ে বাফুফে অবস্থান বদল না করলে তাঁরা কী করবেন, তা-ও জানিয়ে রেখেছেন ফুটবলাররা, ‘যেহেতু গত অক্টোবরের পর কোনো ফুটবলারের সঙ্গে বাফুফে কোন চুক্তি নবায়ন করেনি, তাই আইনত বাফুফে আমাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখে না। তারপরও যদি সেরকম কিছু করার সিদ্ধান্ত হয় এবং পিটার বাটলারকেই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বাফুফে অনড় থাকে, তবে আমরা একযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হব। ভেবে নেব, দেশের নারী ফুটবলে আমাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে।’