প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে রইল খুলনা
- আপডেট সময় : ০৬:২৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
বিপিএলের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে খুলনার কাছে ৪৬ রানে হারতে হয়েছে রংপুরকে। এই জয় দিয়ে প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে রইল খুলনা। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে হারাতে পারলেই প্লে-অফের টিকিট পাবে মেহেদি মিরাজের দল।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুরকে হারিয়েছে ১১ ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পাঁচ নম্বরে খুলনা টাইগার্স। টিকে রইলো শেষ চারে ওঠার স্বপ্ন।
লিগ পর্বে খুলনার শেষ ম্যাচ ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। এই ম্যাচে জিতলে দুর্বার রাজশাহীর সমান ১২ পয়েন্ট হবে তাদের। এই দুই দলের মধ্যে হিসাব হলে রান রেটে এগিয়ে থাকায় প্লে-অফে উঠবে খুলনাই। এদিকে টানা চতুর্থ ম্যাচ হেরে লিগ পর্বের ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রংপুর।
এদিন ব্যাট করে রংপুরকে পাহাড় সমান ২২১ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল খুলনা। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তুলতে পারে রংপুর। এতে ৪৬ রানের বড় জয় পায় খুলনা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। ৮ বলে ৯ রান করে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন তৌফিক খান। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছাড়াতে পারেনি সাইফ হাসানও। ৯ বলে ৬ রান করে রান আউট হন তিনি। তবে ইফতেখারকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকে সৌম্য সরকার।
১৫ বলে ১৯ রানে ইফতেখার আউট হলেও ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেন সৌম্য। এরপর পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন শেখ মাহেদীও। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৪ বলে ২৭ রান করে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। ২ বলে শূন্য রান করে নুরুল হাসান সোহান আউট হলে দলীয় ১০৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে রংপুর।
সৌম্যকে সঙ্গে দিয়ে ব্যাট চালিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন সাইফউদ্দিন। ১৭তম ওভারে মুশফিক হাসানের হাতে বল তুলে দেন মিরাজ। চতুর্থ বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে আকাশে তোলেন সাইফউদ্দিন। নাঈম হাসান দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে ক্যাচটি তালুবদ্ধ করেন। ১০ বলে ১৮ রান করেন তিনি। পরে বলে ডাক আউট হন আজিজুল হক তামিম।
১২ বলে রংপুরের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫২ রান। ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান তোলে তারা। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বোল্ড আউট হন ৪৮ বলে ৭৪ রান করা সৌম্য। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তুলতে পারে রংপুর। এতে ৪৬ রানের বড় জয় পায় খুলনা।
খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন মুশফিক হাসান। এ ছাড়াও মোহাম্মদ নাওয়াজ দুটি, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।