ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাণিজ্য মেলায় মিলছে না আশানুরূপ রপ্তানি সাফল্য

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় মিলছে না আশানুরূপ রপ্তানি সাফল্য। এবার আসবাবপত্রকে ‘বর্ষপণ্য’ ঘোষণা করা হলেও মেলার শেষ পথে বিশ্ববাজারের এর খুব একটা সাড়া মেলেনি। এবারের মেলায় বাংলাদেশের সাথে রপ্তানি বাণিজ্য শীর্ষে থাকা দেশগুলোর আগ্রহও কম। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, অর্থনৈতিক অস্থিরতায় সরকার ভ্যাট কমাতে পারছে না। ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক সরকার কাজ করলে এই সংকট কমতে পারে বলে ধারণা তাদের।

পরিচিতি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা- তবে নামের সাথে আন্তর্জাতিকতা কতটা। প্রশ্ন থেকেই যায়!

অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে জোর দেয়া হয় এবারের বাণিজ্য মেলায়। দেশীয় ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অংশ নেয় ৭ দেশের ১১ প্রতিষ্ঠান। তবে, বাংলাদেশে রপ্তানি বাণিজ্যে শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে শুধু ভারতের স্টল রয়েছে মেলায়- আর যাদের সাথে বিশ্ববাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয় বাংলাদেশকে- সেসব দেশগুলোর এই মেলার প্রতি আগ্রহ কম।

রপ্তানি প্রসার ও প্রণোদনামূলক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহ দিতে এবার ‘আসবাবপত্রকে চলতি বছরের ‘বর্ষপণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। গেল অর্থবছরে দেশ থেকে ফার্নিচার রপ্তানি করে ৭৪ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। যা বিগত ২ অর্থবছরে ছিল ৯০ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ও ১১০ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার।

চাহিদা মিটিয়ে বহির্বিশ্বে ফার্নিচার রপ্তানি বাড়াতে আধুনিক ডিজাইন নিয়ে কাজ করছে দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলো। দেশের সাড়া মিললেও সম্প্রতি অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপে আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ আশানুরূপ নয়।

গেল দুই অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে প্রধান রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মাঝে অন্যতম পাট ও পাটজাত পণ্য। কিন্তু নানা কারণে এই পণ্যের স্টলেও ভিড় নেই।

এসএমই পণ্যের স্টলেও একই চিত্র। জিআই পণ্যে ঢাকাইয়া জামদানি, সতরঞ্জীর প্রতি ক্রেতা আকর্ষণ থাকলেও আশানুরূপ রপ্তানি ক্রয়াদেশ মিলছে না।

এদিকে, ইলেকট্রনিকস পণ্যে বিশ্ববাজারে কেমন সাড়া মিলছে সেটা নিয়ে আছে বিভিন্ন মত। বিদেশি ক্রেতা সমাগম কম মনে করছেন কেউ কেউ। তবে এর মাঝে আছে কিছুটা স্বস্তি।

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, দেশের সার্বিক অস্থিরতায় বহির্বিশ্বে রপ্তানি ক্রয়াদেশে সাড়া কম হতে পারে। ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক সরকার কাজ করলে এই সংকট কমতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ এই সরকার যদি মনে করত এই চুক্তি করার পর আমাদের চুক্তি টিকবে তাহলে হয়ত আরো ব্যাপক সাড়া পাওয়া যেত। আমাদের কুটির শিল্প বা হস্ত শিল্পকে ব্যাপকভাবে প্রণোদনা করে রপ্তানি করা যেতে পারে। এখন আমাদের যা রপ্তানি করা হয় তাতে সরকারের চেয়ে উৎপাদক নিজেই লাইন করে থাকে। বিভিন্ন দেশের ইম্পোটার যারা আছেন তাদের আরো আগে আহ্বান করে যদি এ সম্পর্কে ব্রিফ করা যায় তাহলে ভালো হবে। আমাদের দেশের সাথে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তৈরি করার জন্য এখন আমরা ভালো অবস্থানে আছি।’

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বলছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এবারের মেলার ক্রেতা দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। দেশী পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে কূটনীতিকদের মেলায় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাণিজ্য মেলায় মিলছে না আশানুরূপ রপ্তানি সাফল্য

আপডেট সময় : ০২:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় মিলছে না আশানুরূপ রপ্তানি সাফল্য। এবার আসবাবপত্রকে ‘বর্ষপণ্য’ ঘোষণা করা হলেও মেলার শেষ পথে বিশ্ববাজারের এর খুব একটা সাড়া মেলেনি। এবারের মেলায় বাংলাদেশের সাথে রপ্তানি বাণিজ্য শীর্ষে থাকা দেশগুলোর আগ্রহও কম। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, অর্থনৈতিক অস্থিরতায় সরকার ভ্যাট কমাতে পারছে না। ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক সরকার কাজ করলে এই সংকট কমতে পারে বলে ধারণা তাদের।

পরিচিতি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা- তবে নামের সাথে আন্তর্জাতিকতা কতটা। প্রশ্ন থেকেই যায়!

অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে জোর দেয়া হয় এবারের বাণিজ্য মেলায়। দেশীয় ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অংশ নেয় ৭ দেশের ১১ প্রতিষ্ঠান। তবে, বাংলাদেশে রপ্তানি বাণিজ্যে শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে শুধু ভারতের স্টল রয়েছে মেলায়- আর যাদের সাথে বিশ্ববাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয় বাংলাদেশকে- সেসব দেশগুলোর এই মেলার প্রতি আগ্রহ কম।

রপ্তানি প্রসার ও প্রণোদনামূলক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহ দিতে এবার ‘আসবাবপত্রকে চলতি বছরের ‘বর্ষপণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। গেল অর্থবছরে দেশ থেকে ফার্নিচার রপ্তানি করে ৭৪ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। যা বিগত ২ অর্থবছরে ছিল ৯০ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ও ১১০ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার।

চাহিদা মিটিয়ে বহির্বিশ্বে ফার্নিচার রপ্তানি বাড়াতে আধুনিক ডিজাইন নিয়ে কাজ করছে দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলো। দেশের সাড়া মিললেও সম্প্রতি অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপে আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ আশানুরূপ নয়।

গেল দুই অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে প্রধান রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মাঝে অন্যতম পাট ও পাটজাত পণ্য। কিন্তু নানা কারণে এই পণ্যের স্টলেও ভিড় নেই।

এসএমই পণ্যের স্টলেও একই চিত্র। জিআই পণ্যে ঢাকাইয়া জামদানি, সতরঞ্জীর প্রতি ক্রেতা আকর্ষণ থাকলেও আশানুরূপ রপ্তানি ক্রয়াদেশ মিলছে না।

এদিকে, ইলেকট্রনিকস পণ্যে বিশ্ববাজারে কেমন সাড়া মিলছে সেটা নিয়ে আছে বিভিন্ন মত। বিদেশি ক্রেতা সমাগম কম মনে করছেন কেউ কেউ। তবে এর মাঝে আছে কিছুটা স্বস্তি।

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, দেশের সার্বিক অস্থিরতায় বহির্বিশ্বে রপ্তানি ক্রয়াদেশে সাড়া কম হতে পারে। ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক সরকার কাজ করলে এই সংকট কমতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ এই সরকার যদি মনে করত এই চুক্তি করার পর আমাদের চুক্তি টিকবে তাহলে হয়ত আরো ব্যাপক সাড়া পাওয়া যেত। আমাদের কুটির শিল্প বা হস্ত শিল্পকে ব্যাপকভাবে প্রণোদনা করে রপ্তানি করা যেতে পারে। এখন আমাদের যা রপ্তানি করা হয় তাতে সরকারের চেয়ে উৎপাদক নিজেই লাইন করে থাকে। বিভিন্ন দেশের ইম্পোটার যারা আছেন তাদের আরো আগে আহ্বান করে যদি এ সম্পর্কে ব্রিফ করা যায় তাহলে ভালো হবে। আমাদের দেশের সাথে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তৈরি করার জন্য এখন আমরা ভালো অবস্থানে আছি।’

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বলছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এবারের মেলার ক্রেতা দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। দেশী পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে কূটনীতিকদের মেলায় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।