সরকারে থেকে রাজনৈতিক দলে থাকবো না: উপদেষ্টা নাহিদ
- আপডেট সময় : ০৬:৩৮:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
রাজনীতির মাঠে চর্চিত বিষয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ। এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিক দাবি করেছে, ‘পদত্যাগ করতে চলেছেন উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ছাত্র প্রতিনিধি মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ’। এছাড়া ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে তাদের দল আত্মপ্রকাশ করবে বলে জানানো হয় ওই প্রতিবেদন।
এসব বিষয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন নাহিদ ইসলাম। তিনি জানান, যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিল না তারা সাধারণ ক্ষমা পেতে পারে। জুলাই ঘোষণাপত্র ইস্যুতে বিএনপি নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছে। জলদি তা ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রতিবেদনটি আমার নজরে এসেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দেখেছি। পত্রিকা আসলে কোন উৎস থেকে এটা করেছে, সেটা পরিষ্কার করেনি।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের (পদত্যাগের) সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। যদি হয় তাহলে আমরা নিজেরাই বলব। রাজনৈতিক দলে অংশগ্রহণের পরিস্থিতি হলে, আমরা সরকার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলে সেটা আনুষ্ঠানিকভাবেই বলব। এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমার বা আসিফের জায়গা থেকে হয়নি। আমরা সরকারের কার্যক্রম করছি।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বিচার নিয়ে আরও বেশি কথা বলা উচিত। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কাজ চলমান রয়েছে। কোটা আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থান পুরো সময়টিতেই বিচার চাওয়া হয়েছে। যখন আমাদের ভাই-বোন মারা গেছে তখন আমরা বিচার চেয়েছি। শেখ হাসিনাসহ সবার বিচার করা হবে বলেও জানান তিনি।
নাহিদ ইসলাম জানান, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজিবী মহলে ফ্যাসিবাদের দালাল তৈরি হয়েছিল। ফ্যাসিবাদকে সহায়তা করাও একটা নৈতিক অপরাধ। নৈতিক এবং সামাজিক বিচারও হওয়া উচিত। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ভিন্নমত থাকতে পারে তবে কোনো অনৈক্য তৈরি হয়নি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের ঐক্যের শিক্ষা দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে নানা আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, বিগত সময়ে যেভাবে আন্দোলন দমন করা হয়েছে আমরা সেভাবে করছি না। যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিচ্ছি। ফ্যাসিবাদের দোসররা এর সুযোগ নিলে সরকার কঠোর হবে। তবে আন্দোলনকে কখনও দমনমূলকভাবে থামাতে চাই না।
তিনি আরও জানান, সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল আচরণের কথা বলা হয়েছে। জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এই সরকার গণমাধ্যমের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে তিনি আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। গণমাধ্যমের ওপর সরকারের নয়, সামাজিক চাপ রয়েছে বলেও জানান তিনি।