ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

১১০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে মুক্ত আট জিম্মি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে তৃতীয় দফায় জিম্মি ও বন্দিবিনিময় শুরু হয়েছে। এই ধাপে ১১০ কারাবন্দির পাশাপাশি মুক্তি পাচ্ছে আট জিম্মি। যাদের মধ্যে পাঁচজন থাই নাগরিক। এরইমধ্যে, এক ইসরাইলি জিম্মিকে রেড ক্রসের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এদিকে গাজাবাসীকে বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনায় মিশর যোগ দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি।

হামাস ও ইসরাইলের তৃতীয় দফা জিম্মি ও বন্দিবিনিময় শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি)। প্যালেস্টিনিয়ান প্রিজনারস সোসাইটির তথ্য বলছে, এদিন মুক্তি দেয়া হবে ১১০ কারাবন্দি ফিলিস্তিনিকে। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা নাগাদ পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফেরার কথা রয়েছে কারাবন্দিদের। অপরদিকে, ইসরাইলে আট জিম্মিকে ফেরত পাঠাবে হামাস। যার মধ্যে রয়েছেন পাঁচ থাই নাগরিক।

জিম্মিদের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণছেন ইসরাইলিরা। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানী তেল আবিবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় ঘিরে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ’ নাগরিক। শেষ জিম্মি ঘরে না ফেরা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দেন তারা। বিনিময়ের তালিকায় থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের নাম ঘোষণার পর অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন।

স্থানীয় একজন ইসরাইলি বলেন, ‘গাজায় হামাসের হাতে দীর্ঘ সময় জিম্মি থাকার পর অবশেষে গাদি মোজেজ মুক্তি পাচ্ছেন। এতে আমি খুবই খুশি।’

অন্য একজন স্থানীয় বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। তবে শেষ জিম্মি মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত আমরা এখানেই অবস্থান করবো।’

গাজায় শান্তি ফিরলেও ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন চলছে পশ্চিম তীরে। বুধবার তাম্মুন অঞ্চলে ইসরাইলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। অভিযানের নামে নির্বিচারে ধরপাকড় চালাচ্ছে আইডিএফ। হামলা চালানো হয়েছে তুলকারেম ও কালাকিয়ায়। অপরারেশন আয়রন ওয়াল শেষ হওয়ার পরও জেনিন শরণার্থী শিবিরে সামরিক বাহিনী অবস্থান করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ।

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের শরণার্থী শিবিরগুলোয় ইরানের অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের জন্য অপারেশন আয়রন ওয়াল চলছে। জেনিন শরণার্থী শিবির আগের অবস্থায় ফিরবে না। সন্ত্রাসবাদ যাতে না ফেরে, সেজন্য অপারেশন শেষ হবার পরেও আইডিএফ এখানেই থাকবে।’

যুদ্ধবিরতি চুক্তি শুরুর পর থেকে উত্তর গাজায় ফিরেছেন ৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও বিজয়ের হাসিতে ঘরে ফিরতে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষকে। যদিও উপত্যকাটি বসবাসের অযোগ্য বলছেন ফিলিস্তিনিরা।

এদিকে গাজাবাসীকে বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনায় মিশর যোগ দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি। জানান, পরিকল্পনাটি অনন্য। পাশাপাশি এটি বাস্তবায়নে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা তার।

মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেন, ‘আমরা গাজাবাসীর প্রতি অবিচারে অংশ নেবো না। গাজায় ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি ছাড়তে বাধ্য করা হলে তাদের প্রতি অবিচার করা হবে। পাশাপাশি এটি মিশরের জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করবে।’

ইসরাইলের অধিকৃত অঞ্চল থেকে জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থার কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। একইসঙ্গে সংস্থাটির কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন চীনা প্রতিনিধি।

নিউজটি শেয়ার করুন

১১০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে মুক্ত আট জিম্মি

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে তৃতীয় দফায় জিম্মি ও বন্দিবিনিময় শুরু হয়েছে। এই ধাপে ১১০ কারাবন্দির পাশাপাশি মুক্তি পাচ্ছে আট জিম্মি। যাদের মধ্যে পাঁচজন থাই নাগরিক। এরইমধ্যে, এক ইসরাইলি জিম্মিকে রেড ক্রসের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এদিকে গাজাবাসীকে বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনায় মিশর যোগ দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি।

হামাস ও ইসরাইলের তৃতীয় দফা জিম্মি ও বন্দিবিনিময় শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি)। প্যালেস্টিনিয়ান প্রিজনারস সোসাইটির তথ্য বলছে, এদিন মুক্তি দেয়া হবে ১১০ কারাবন্দি ফিলিস্তিনিকে। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা নাগাদ পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফেরার কথা রয়েছে কারাবন্দিদের। অপরদিকে, ইসরাইলে আট জিম্মিকে ফেরত পাঠাবে হামাস। যার মধ্যে রয়েছেন পাঁচ থাই নাগরিক।

জিম্মিদের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণছেন ইসরাইলিরা। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানী তেল আবিবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় ঘিরে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ’ নাগরিক। শেষ জিম্মি ঘরে না ফেরা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দেন তারা। বিনিময়ের তালিকায় থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের নাম ঘোষণার পর অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন।

স্থানীয় একজন ইসরাইলি বলেন, ‘গাজায় হামাসের হাতে দীর্ঘ সময় জিম্মি থাকার পর অবশেষে গাদি মোজেজ মুক্তি পাচ্ছেন। এতে আমি খুবই খুশি।’

অন্য একজন স্থানীয় বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। তবে শেষ জিম্মি মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত আমরা এখানেই অবস্থান করবো।’

গাজায় শান্তি ফিরলেও ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন চলছে পশ্চিম তীরে। বুধবার তাম্মুন অঞ্চলে ইসরাইলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। অভিযানের নামে নির্বিচারে ধরপাকড় চালাচ্ছে আইডিএফ। হামলা চালানো হয়েছে তুলকারেম ও কালাকিয়ায়। অপরারেশন আয়রন ওয়াল শেষ হওয়ার পরও জেনিন শরণার্থী শিবিরে সামরিক বাহিনী অবস্থান করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ।

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের শরণার্থী শিবিরগুলোয় ইরানের অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের জন্য অপারেশন আয়রন ওয়াল চলছে। জেনিন শরণার্থী শিবির আগের অবস্থায় ফিরবে না। সন্ত্রাসবাদ যাতে না ফেরে, সেজন্য অপারেশন শেষ হবার পরেও আইডিএফ এখানেই থাকবে।’

যুদ্ধবিরতি চুক্তি শুরুর পর থেকে উত্তর গাজায় ফিরেছেন ৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও বিজয়ের হাসিতে ঘরে ফিরতে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষকে। যদিও উপত্যকাটি বসবাসের অযোগ্য বলছেন ফিলিস্তিনিরা।

এদিকে গাজাবাসীকে বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনায় মিশর যোগ দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি। জানান, পরিকল্পনাটি অনন্য। পাশাপাশি এটি বাস্তবায়নে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা তার।

মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেন, ‘আমরা গাজাবাসীর প্রতি অবিচারে অংশ নেবো না। গাজায় ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি ছাড়তে বাধ্য করা হলে তাদের প্রতি অবিচার করা হবে। পাশাপাশি এটি মিশরের জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করবে।’

ইসরাইলের অধিকৃত অঞ্চল থেকে জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থার কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। একইসঙ্গে সংস্থাটির কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন চীনা প্রতিনিধি।