গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, যারা আওয়ামী লীগ কিংবা ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসন করার জন্য কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের কথা চিন্তা করেনি, জুলাইয়ে দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শ্যামপুরে গণঅধিকার পরিষদের মহানগর দক্ষিণের এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগ গণআন্দোলন মুখে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। সেখান থেকে তারা কর্মসূচি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ কিংবা ফ্যাসিবাদের দোসর কাউকে রাজপথে মিছিল করতে দেখলে সবাই মিলে প্রতিহত করুন। ভারতকে বলবো- গণহত্যা মামলার আসামি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠান।
গণ অধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত সরকার দেশকে স্থিতিশীল করতে পারেনি। তাই যত দ্রুত সম্ভব একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। এই সরকারকে জনগণের পালস বুঝে কাজ করতে হবে। আমরা চাই সামনে যে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন হবে সেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার ও আহতদের স্বজনরা অংশ নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পর আওয়ামী লীগ সেই চেতনাকে বিক্রি করে দেশে গণহত্যা চালিয়েছিলো, গত ১৬ বছর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম করে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে পুঁজি করে নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েম না হয়।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, আহত যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের আক্ষেপ আমাদের ভাবাচ্ছে, সরকার ৬ মাসে কি করলো? এখনো তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারলো না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা দেখছি না। গণহত্যার বিচার কি আওয়ামী লীগের অপরাধীদের জেলের বাইরে রেখে হবে? এখনো পুলিশ-প্রশাসন-সরকারে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চলছে।
দলের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আওয়ামী লীগ ফেব্রুয়ারিতে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে, আমরা গণঅধিকার পরিষদ হুঁশিয়ারি দিচ্ছি গণহত্যাকারী দলের কোনো সদস্যকে কোথাও পাওয়া গেলে আমরা প্রতিহত করবো।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন। এছাড়া সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহজাহান মিয়া, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি অর্নব হোসাইন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি হিরণ মিয়া।