ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে রাজস্ব আসলো ১৩ কোটি ৪০ লাখ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলতি মৌসুমের ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম ৫ মাসে কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরিত সাড়ে ৬ হাজার টন মাছের শুল্কায়ন হয়েছে। এ সময় জেলার চারটি মৎস্য অবতরণকেন্দ্র থেকে শুল্ক বাবদ রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার বেশি।

এখনও মৌসুমের আরও তিন মাস হাতে থাকায় চলতি মৌসুমে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষের। গেল মৌসুমে সাড়ে ৭ হাজার টন মাছ থেকে ১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।

হ্রদে রুই, কাতল, বোয়াল, চিতল, আইড়, পাবদাসহ ৮০ প্রজাতির মাছ রয়েছে। তবে অবতরণ ঘাটগুলোতে আনা মাছের প্রায় ৯৫ শতাংশই চাপিলা আর কাচকি। এতে রাজস্বও আসছে কম।

চাপিলা আর কাচকি মাছে কেজি প্রতি শুল্ক আদায় হয় ২২ টাকা। আর বড় মাছে কেজি প্রতি ৪২ টাকা। এসব মাছ আনা হয় রাঙামাটি সদর, কাপ্তাই, মারিশ্যা ও মহালছড়ি এই চারটি মৎস্য অবতরণ ঘাটে। সেখানে পরিমাপ ও শুল্কায়ন শেষে এসব মাছ যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

প্রজনন মৌসুমে ২৫ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত চলা ১২৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদে নিবন্ধিত প্রায় ২৭ হাজার জেলে মাছ শিকার করেন।

গেল মৌসুমে চারটি মৎস্য অবতরণ ঘাট থেকে সাড়ে ৭ হাজার টন মাছ থেকে ১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এবার ৮ হাজার টন মাছ থেকে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা শুল্ক বাবদ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের রাঙামাটি অফিস।

রাঙামাটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হলে ব্যবসায়ী মো. মামুন বলেন, ‘এই মৌসুমে হ্রদে এখনো পানি অনেক বেশি। এ কারণে মাছ কম ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। এখন বেশি ধরা পড়ছে কাচকি আর চাপিলা। পানি কিছুটা কমে আসলে মাছ আহরণ বাড়বে। তখন কার্প জাতীয় বড় মাছও পাওয়া যাবে।‘

রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের মার্কেটিং অফিসার আইয়ুব আফনান জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ৫ মাসে জেলার চারটি মৎস্য অবতরণ ঘাটে সাড়ে ৬ হাজার টন মাছ অবতরণ হয়েছে। যেখান থেকে শুল্কায়ন বাবদ রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে রাজস্ব আসলো ১৩ কোটি ৪০ লাখ

আপডেট সময় : ০৩:৪১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

চলতি মৌসুমের ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম ৫ মাসে কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরিত সাড়ে ৬ হাজার টন মাছের শুল্কায়ন হয়েছে। এ সময় জেলার চারটি মৎস্য অবতরণকেন্দ্র থেকে শুল্ক বাবদ রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার বেশি।

এখনও মৌসুমের আরও তিন মাস হাতে থাকায় চলতি মৌসুমে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষের। গেল মৌসুমে সাড়ে ৭ হাজার টন মাছ থেকে ১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।

হ্রদে রুই, কাতল, বোয়াল, চিতল, আইড়, পাবদাসহ ৮০ প্রজাতির মাছ রয়েছে। তবে অবতরণ ঘাটগুলোতে আনা মাছের প্রায় ৯৫ শতাংশই চাপিলা আর কাচকি। এতে রাজস্বও আসছে কম।

চাপিলা আর কাচকি মাছে কেজি প্রতি শুল্ক আদায় হয় ২২ টাকা। আর বড় মাছে কেজি প্রতি ৪২ টাকা। এসব মাছ আনা হয় রাঙামাটি সদর, কাপ্তাই, মারিশ্যা ও মহালছড়ি এই চারটি মৎস্য অবতরণ ঘাটে। সেখানে পরিমাপ ও শুল্কায়ন শেষে এসব মাছ যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

প্রজনন মৌসুমে ২৫ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত চলা ১২৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদে নিবন্ধিত প্রায় ২৭ হাজার জেলে মাছ শিকার করেন।

গেল মৌসুমে চারটি মৎস্য অবতরণ ঘাট থেকে সাড়ে ৭ হাজার টন মাছ থেকে ১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এবার ৮ হাজার টন মাছ থেকে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা শুল্ক বাবদ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের রাঙামাটি অফিস।

রাঙামাটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হলে ব্যবসায়ী মো. মামুন বলেন, ‘এই মৌসুমে হ্রদে এখনো পানি অনেক বেশি। এ কারণে মাছ কম ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। এখন বেশি ধরা পড়ছে কাচকি আর চাপিলা। পানি কিছুটা কমে আসলে মাছ আহরণ বাড়বে। তখন কার্প জাতীয় বড় মাছও পাওয়া যাবে।‘

রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের মার্কেটিং অফিসার আইয়ুব আফনান জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ৫ মাসে জেলার চারটি মৎস্য অবতরণ ঘাটে সাড়ে ৬ হাজার টন মাছ অবতরণ হয়েছে। যেখান থেকে শুল্কায়ন বাবদ রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার বেশি।