ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারতের ২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১২ লাখ রুপি পর্যন্ত করের বোঝা কমিয়ে ২০২৫ অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান। এই বাজেটকে বলা হচ্ছে, দেশের দরিদ্র, কৃষক, নারী আর তরুণদের বাজেট।

আগামী ৫ বছরে সব রাজ্যে সবার বিকাশ নিশ্চিতে দেয়া হয়েছে এই বাজেট। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বিকাশে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫শ’ কোটি রুপি। অধিবেশন দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়েছে, শেষ হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় ধাপ ১০ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হবে ৪ এপ্রিল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে নির্মলা সীতারামানের অষ্টম বাজেট এটি। ভারতে পহেলা এপ্রিল অর্থবছর শুরু হয়ে শেষ হয় ৩১ মার্চ।

শনিবারের বাজেটে কোন কোন বিষয়গুলির উপর বিশেষভাবে নজর থাকতে চলেছে? পড়ে নিন বিশেষজ্ঞদের মতামত
আয়কর: গত কয়েক বছরে মানুষের খরচ যেভাবে বেড়েছে সেই তুলনায় আয় বৃদ্ধি অনেকটাই কম হয়েছে। অপরদিকে মাথার উপর রয়েছে উচ্চ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের বোঝা। বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমানোর পাশাপাশি মানুষের হাতে আরও অর্থ প্রদান করার উদ্দেশ্যে বাজেটে কর ছাড়ের সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আয়করের বিষয়টি বাজেটে অবশ্যই একটি বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে।

কর্মসংস্থান: কর্মসংস্থানের অভাব আগামীতে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে দেশের যুব প্রজন্মের একটি বড় অংশ কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। বাজেটে দেশে নতুন চাকরি তৈরি করার উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ।

মুদ্রাস্ফীতি: মুদ্রাস্ফীতির কারণে বর্তমানে মধ্যবিত্তের কার্যত নাজেহাল অবস্থা। একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে আকাশছোঁয়া বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষের পকেটের উপর বাড়তে থাকা চাপ কমানোর বিষয়টির উপর নজর দেওয়া উচিত। মুদ্রাস্ফীতি দেশের অর্থনীতির জন্যও একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। সেই কারণে এই সমস্যাটির সমাধানের উপরেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।

কৃষি উন্নয়ন: একাধিক খাদ্যপণ্যের উচ্চ মূল্যের পিছনে একটি বড় কারণ উৎপাদন হ্রাস। জলবায়ুর পরিবর্তন ও খামখেয়ালী আবহাওয়ার কারণে একাধিক ফসলের উৎপাদন প্রভাবিত হয়েছে। কৃষি খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া দরকার। কৃষকদের প্রযুক্তিগতভাবে আরও উন্নত করে তুলতে হবে। কৃষি খাতের আধুনিকীকরণ করা প্রয়োজন। উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়টিতে বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করা দরকার।

বিদ্যুৎ: পরিবেশ দূষণ ও বাড়তে থাকা বিদ্যুতের চাহিদা, এই দুটি বিষয়ই বর্তমানে দেশের জন্য বড়সড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা সামলাতে কার্যত হিমসিম খাচ্ছে সরকার।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুটি সমস্যারই একটি দুর্দান্ত সমাধান হয়ে উঠতে পারে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির খাত। এই খাতটির উন্নয়নে ইতিমধ্যেই বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করছে কেন্দ্র। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বাজেটে একাধিক পদক্ষেপ গৃহীত হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।

এবার দেখে নিন পুরনো বাজেটে কোন জিনিসের দাম বেড়েছিল এবং কোন জিনিসের দাম কমেছিল। রইল ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালের তালিকা। এক ঝলকে দেখে নিন শেষ কয় বছরের বাজেটে কোন জিনিসের দাম বেড়েছিল আর কোন জিনিসের দাম কমেছিল। রইস সেই তালিকা। এবার দেখে নিন এক ঝলকে।

কেন্দ্রীয় বাজেট অনুসারে ২০২৩-২৪ সস্তা হয়েছিল টিভি, স্মার্টফোন, কমপ্রেসড গ্যাস, হীরে, ইভির জন্য লিথিয়াম-আয়ন তৈরির জন্য যন্ত্রপাতি।

২০২৩-২৪ কেন্দ্রীয় বাজেটে দাম বেড়েছিল- সিগারেট, সাইকেল, ইমিটেশন জুয়েলারি, বিমান ভ্রমণের খরচ, বৈদ্যুতিক চিমনির দাম, তামার স্ক্র্যাপের দাম, টেক্সটাইলের জিনিস পত্রের খরচ।

কেন্দ্রীয় বাজেট অনুসারে ২০২২-২৩ সস্তা হয়েছিল ইমিটেশন জুয়েলারি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কাটা এবং পালিশ করা হীরে, রত্ন।

অনুসারে ২০২২-২৩ দাম বেড়েছিল ছাতা, আমদানি করা জিনিসপত্র, মিশ্রিত জ্বালানি, চকোলেট, স্মার্টওয়াচ এবং ইয়ারবাড।

কেন্দ্রীয় বাজেট অনুসারে ২০২১-২২ সস্তা হয়েছিল সোনা, রুপো, চামড়াজাত পণ্য, নাইলনের কাপড়, লোহা, ইস্পাত এবং তামার তৈরি পণ্য। কেন্দ্রীয় বাজেট অনুসারে ২০২১-২২ দাম বেড়েছিল, সোলার সেল, মোবাইল ফোন এবং চার্জার, আমদানি করা মূল্যবান রত্ন এবং মূল্যবান পাথর, এসি এবং ফ্রিজ কম্প্রেসার, অটো যন্ত্রাংশ।

কেন্দ্রীয় বাজেট অনুসারে ২০২০-২১ সস্তা হয়েছিল চিনি, দুধ, সয়া ফাইবার, সয়া প্রোটিন, অ্যালকোহলযুক্ত দল, কৃষিজ এবং প্রাণীজ জিনিসপত্র, নিউজপ্রিন্টের জিনিস, কাগজ, অ্যাসিড।

কেন্দ্রীয় বাজেট অনুসারে ২০২০-২১ দাম বেড়েছিল চিকিৎসার সরঞ্জাম, জুতো, আসবাবপত্র, পাখা, সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য, মাটির লোহা, ইস্পাত, তামা, সিভির যন্ত্রাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের ২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৪:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

১২ লাখ রুপি পর্যন্ত করের বোঝা কমিয়ে ২০২৫ অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান। এই বাজেটকে বলা হচ্ছে, দেশের দরিদ্র, কৃষক, নারী আর তরুণদের বাজেট।

আগামী ৫ বছরে সব রাজ্যে সবার বিকাশ নিশ্চিতে দেয়া হয়েছে এই বাজেট। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বিকাশে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫শ’ কোটি রুপি। অধিবেশন দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়েছে, শেষ হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় ধাপ ১০ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হবে ৪ এপ্রিল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে নির্মলা সীতারামানের অষ্টম বাজেট এটি। ভারতে পহেলা এপ্রিল অর্থবছর শুরু হয়ে শেষ হয় ৩১ মার্চ।

শনিবারের বাজেটে কোন কোন বিষয়গুলির উপর বিশেষভাবে নজর থাকতে চলেছে? পড়ে নিন বিশেষজ্ঞদের মতামত
আয়কর: গত কয়েক বছরে মানুষের খরচ যেভাবে বেড়েছে সেই তুলনায় আয় বৃদ্ধি অনেকটাই কম হয়েছে। অপরদিকে মাথার উপর রয়েছে উচ্চ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের বোঝা। বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমানোর পাশাপাশি মানুষের হাতে আরও অর্থ প্রদান করার উদ্দেশ্যে বাজেটে কর ছাড়ের সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আয়করের বিষয়টি বাজেটে অবশ্যই একটি বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে।

কর্মসংস্থান: কর্মসংস্থানের অভাব আগামীতে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে দেশের যুব প্রজন্মের একটি বড় অংশ কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। বাজেটে দেশে নতুন চাকরি তৈরি করার উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ।

মুদ্রাস্ফীতি: মুদ্রাস্ফীতির কারণে বর্তমানে মধ্যবিত্তের কার্যত নাজেহাল অবস্থা। একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে আকাশছোঁয়া বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষের পকেটের উপর বাড়তে থাকা চাপ কমানোর বিষয়টির উপর নজর দেওয়া উচিত। মুদ্রাস্ফীতি দেশের অর্থনীতির জন্যও একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। সেই কারণে এই সমস্যাটির সমাধানের উপরেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।

কৃষি উন্নয়ন: একাধিক খাদ্যপণ্যের উচ্চ মূল্যের পিছনে একটি বড় কারণ উৎপাদন হ্রাস। জলবায়ুর পরিবর্তন ও খামখেয়ালী আবহাওয়ার কারণে একাধিক ফসলের উৎপাদন প্রভাবিত হয়েছে। কৃষি খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া দরকার। কৃষকদের প্রযুক্তিগতভাবে আরও উন্নত করে তুলতে হবে। কৃষি খাতের আধুনিকীকরণ করা প্রয়োজন। উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়টিতে বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করা দরকার।

বিদ্যুৎ: পরিবেশ দূষণ ও বাড়তে থাকা বিদ্যুতের চাহিদা, এই দুটি বিষয়ই বর্তমানে দেশের জন্য বড়সড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা সামলাতে কার্যত হিমসিম খাচ্ছে সরকার।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুটি সমস্যারই একটি দুর্দান্ত সমাধান হয়ে উঠতে পারে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির খাত। এই খাতটির উন্নয়নে ইতিমধ্যেই বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করছে কেন্দ্র। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বাজেটে একাধিক পদক্ষেপ গৃহীত হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।

এবার দেখে নিন পুরনো বাজেটে কোন জিনিসের দাম বেড়েছিল এবং কোন জিনিসের দাম কমেছিল। রইল ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালের তালিকা। এক ঝলকে দেখে নিন শেষ কয় বছরের বাজেটে কোন জিনিসের দাম বেড়েছিল আর কোন জিনিসের দাম কমেছিল। রইস সেই তালিকা। এবার দেখে নিন এক ঝলকে।

কেন্দ্রীয় বাজেট অনুসারে ২০২৩-২৪ সস্তা হয়েছিল টিভি, স্মার্টফোন, কমপ্রেসড গ্যাস, হীরে, ইভির জন্য লিথিয়াম-আয়ন তৈরির জন্য যন্ত্রপাতি।

২০২৩-২৪ কেন্দ্রীয় বাজেটে দাম বেড়েছিল- সিগারেট, সাইকেল, ইমিটেশন জুয়েলারি, বিমান ভ্রমণের খরচ, বৈদ্যুতিক চিমনির দাম, তামার স্ক্র্যাপের দাম, টেক্সটাইলের জিনিস পত্রের খরচ।

কেন্দ্রীয় বাজেট অনুসারে ২০২২-২৩ সস্তা হয়েছিল ইমিটেশন জুয়েলারি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কাটা এবং পালিশ করা হীরে, রত্ন।

অনুসারে ২০২২-২৩ দাম বেড়েছিল ছাতা, আমদানি করা জিনিসপত্র, মিশ্রিত জ্বালানি, চকোলেট, স্মার্টওয়াচ এবং ইয়ারবাড।

কেন্দ্রীয় বাজেট অনুসারে ২০২১-২২ সস্তা হয়েছিল সোনা, রুপো, চামড়াজাত পণ্য, নাইলনের কাপড়, লোহা, ইস্পাত এবং তামার তৈরি পণ্য। কেন্দ্রীয় বাজেট অনুসারে ২০২১-২২ দাম বেড়েছিল, সোলার সেল, মোবাইল ফোন এবং চার্জার, আমদানি করা মূল্যবান রত্ন এবং মূল্যবান পাথর, এসি এবং ফ্রিজ কম্প্রেসার, অটো যন্ত্রাংশ।

কেন্দ্রীয় বাজেট অনুসারে ২০২০-২১ সস্তা হয়েছিল চিনি, দুধ, সয়া ফাইবার, সয়া প্রোটিন, অ্যালকোহলযুক্ত দল, কৃষিজ এবং প্রাণীজ জিনিসপত্র, নিউজপ্রিন্টের জিনিস, কাগজ, অ্যাসিড।

কেন্দ্রীয় বাজেট অনুসারে ২০২০-২১ দাম বেড়েছিল চিকিৎসার সরঞ্জাম, জুতো, আসবাবপত্র, পাখা, সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য, মাটির লোহা, ইস্পাত, তামা, সিভির যন্ত্রাংশ।