অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে হামলা চালিয়ে অন্তত ২৩টি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। ফলে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে অনেক ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আল জাজিরার প্রতিবেদকেরা জানান, বিস্ফোরণে জেনিন শরণার্থী শিবিরের কাছের আদ-দামজ এলাকায় একটি আবাসিক ব্লক উড়ে গেছে। বিস্ফোরণের শব্দ জেনিন এবং আশেপাশের শহরগুলো থেকেও শোনা গেছে। রোববার বিস্ফোরণে ২৩টি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে ইসরায়েল অভিযানে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠারই বহিঃপ্রকাশ ঘটাল।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, চলমান ইসরয়েলি অভিযানে পশ্চিম তীরের অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। জেনিন শরণার্থীশিবিরের বাড়িগুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
আহমেদ তোবাসি নামের জেনিনের এক বাসিন্দা জানান, ইসরায়েলের হামলায় অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে জেনিন শরণার্থীশিবিরের বাড়িগুলো সত্যিই বসবাসের অযোগ্য।
হাসান নামের আরেক বাসিন্দা জানান, তিনি ও জেনিনের অন্যান্য বাসিন্দারা দুই সপ্তাহ ধরে লাগাতার হামলার শিকার হচ্ছেন। ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন সবাই। তিনি বলেন, ‘কারফিউ জারি ছিল। দোকানপাট, ব্যবসা বাণিজ্য সব বন্ধ।’
জেনিনে হামলার খবর নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ‘আয়রন ওয়াল’ নামের অভিযানের অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়। সন্ত্রাসী অবকাঠামো হিসাবে ব্যবহার হচ্ছিল এমন কয়েকটি ভবন ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর।
ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গত ১৯ জানুয়ারি। এর দুই দিনের মাথায় ২১ জানুয়ারি থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে পশ্চিম তীরে অভিযান শুরু করা হয়। চলমান অভিযানে অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত হয়েছে। বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।