কোনটির বয়স ৫০ বছর, কোনটির আবার তার চেয়েও বেশি। বেশিরভাগই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। এরপরও এসব বেইলি সেতুই যোগাযোগের অন্যতম ভরসা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের। দেশের বিভিন্ন এলাকার বেইলি সেতুর এ চিত্র। দুর্ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু অপসারণ করে পাকা সেতু নিমার্ণের দাবি ভুক্তভোগীদের।
সুনামগঞ্জ জেলা সদর থেকে দিরাই, শাল্লা্ ও জামালগঞ্জ উপজেলার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম মদনপুর বেইলি সেতুটি অর্ধশতাব্দী পুরোনো। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়েই এ পথে চলাচল করছে যানবাহন।
স্থানীয়রা বলছেন, বিভিন্ন উপজেলা সড়কে অন্তত ২৫ টি বেইলি সেতু ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো। এর মধ্যে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা ৭ বেইলি সেতু অপসারণের দাবি দীর্ঘদিনের।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘কয়েকদিন আগে স্কুল থেকে ছাত্রছাত্রীরা যাওয়ার সময় গাড়ি উল্টে পড়ে গেছে। ড্রাইভারই বা কি করবে? কাজটা যদি দ্রুত হয় তাহলে আমাদের জন্য ভাল হয়। এই ব্রিজটা কোন সময় যে কি হয় বলা যায় না।’
বেইলি সেতুগুলো মাসে অন্তত একবার মেরামত করতে হচ্ছে উল্লেখ করে সড়ক বিভাগ বলছে, আগামী বছরের মধ্যে বেইলি সেতুগুলো অপসারণের কাজ শুরুর উদ্যোগ নেয়া হবে।
সুনামগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, ‘বছর দুইয়ের মধ্যে সুনামগঞ্জের বেইলি ব্রিজগুলো আমরা আরসিসি বা পিসি গার্ডার ব্রিজে রূপান্তর করতে পারব।’
ঝুঁকিতে থাকা অন্তত ৮টি বেইলি সেতুর দেখা মিলবে কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর সড়কের ৩৫ কিলোমিটার অংশে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করে ঝুঁকি নিয়ে। তবে সড়ক বিভাগ বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু অপসারণ এবং নতুন করে সেতু নির্মাণে হাতে নেওয়া হচ্ছে ৩৪৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার প্রকল্প।
কুমিল্লা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, ‘ইলিজিবল ঠিকাদার আমরা এখনও পাচ্ছি না। আমরা টেন্ডার আহ্বান করেছি। আশা করি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমরা দরপত্র মূল্যায়ন প্রতিবেদন পাঠাবো, প্রধান প্রকৌশলীর কাছে। সমাধান হচ্ছে।’
৭ বছর আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা ঝালকাঠির বাসন্ডা বেইলি সেতুতে তৈরি হয়েছে গর্ত। চালকদের সতর্ক করতে গাছের ডালের সাথে লাল কাপড় বেঁধে নিশানা টাঙ্গিয়ে দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ। জেলায় এমন শতাধিক বেইলি ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে অসংখ্য মানুষ।