রংপুর রাইডার্সকে বিদায় করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্স। ফাইনালের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নয় উইকেটের বড় ব্যবধানে রংপুরকে হারিয়েছে মেহেদি মিরাজের দল। অন্যদিকে চিটাগং কিংসকে একই ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠল ফরচুন বরিশাল।
টানা আট জয়ে স্বপ্নের মতো শুরু, পরে টানা পাঁচ হারে স্বপ্নভঙ্গ রংপুরের। সবার আগে প্লে অফ নিশ্চিত করা রংপুরের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে সবার পরে প্লে অফের টিকিট কাটা খুলনার জয়ে।
সদ্যই দলে ভেড়ানো জেমস ভিন্সের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে কোনো বল ফেস না করেই রান আউট সৌম্য। এরপর নাছুম আহমেদ-মেহেদি মিরাজদের স্পিন ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয়েছেন ভিন্স, সাইফ, মাহেদিরা। হতাশ করেছেন টিম ডেভিড। মিরপুরের উইকেটে ক্যারিবীয় ঝড় তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। হতাশার অঙ্ক কষে নয়জন রাইডার ব্যাটার ফিরেছেন মোবাইল ডিজিটে। ক্যাপ্টেন সোহানের ওয়ানডে মেজাজের ২৩ কিংবা আকিভ জাভেদের ১৮ বলে ৩২ রানের ইনিংস ম্যাচের স্থায়িত্বই বাড়িয়েছে শুধু।
মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মিরাজের উইকেট হারালেও নাঈম শেখের ৪৮ রানের ইনিংসে ভর করে বড় ব্যবধানে সহজ জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা খুলনা টাইগার্স এখন ফাইনাল থেকে মাত্র এক ম্যাচ দূরে।
রংপরের সাথে চিটাগং কিংসের অদ্ভুত মিল! রাইডার ব্যাটারদের মতো বন্দরনগরীর দলটিরও নয়জন ব্যাটার আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরেই। কাইল মায়ার্সের অসাধারণ সুইংয়ে উইকেট পতনের শুরু আর ৫ উইকেট নিয়ে বাকি কাজটা করেছেন মোহাম্মদ আলী।
পারভেজ ইমনকে সাথে নিয়ে ৭৭ রানের জুটিতে বিপর্যয় সামাল দেন শামীম পাঠোয়ারী। ৩৬ রান করে ইমন আইট হলেও ৭৯ রান করেন শামীম। যেটা বরিশালকে চ্যালেঞ্জ জানানো জন্য যথেষ্ট হয়নি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৫৫ রান তোলেন তামিম ইকবাল ও তাওহীদ হৃদয়। ২৯ রান করে অধিনায়ক তামিম আউট হলেও ৮২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন হৃদয়। এই জয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠল ফরচুন বরিশাল। তবে হারলেও আরেকটি সুযোগ পাচ্ছে কিংসরা। শিরোপার লড়াইয়ে ফাইনালে যেতে হলে খুলনা টাইগার্সকে হারাতে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে।