ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভোটার তথ্য হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি যাননি কর্মীরা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কথা ছিল বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। কিন্তু অনেক এলাকাতেই তথ্য সংগ্রহকারীরা তা করেননি। রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, মিরপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার ফলে নতুন ভোটার নিবন্ধন হয়েছে ১১ লাখ কম। ইসির লক্ষ্য ছিল ৬১ লাখ, হয়েছে মাত্র ৫০ লাখ। এ ছাড়া, হালনাগাদে মৃত ভোটার বাদ পড়েছে ১৫ লাখ। যা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে, প্রশ্ন তৈরি হয়েছে প্রক্রিয়া নিয়ে।

চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলে। আর আজ বুধবার থেকে শুরু হবে ছবি তোলা, আঙুলে ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি গ্রহণের কাজ, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।

নির্বাচন কমিশন এরআগে ১২ কোটির বেশি ভোটারের তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাইয়ের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন।

হালনাগাদ কার্যক্রমের শেষ দিন সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রামপুরার ওয়াপদা রোড এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তথ্য সংগ্রহকারীরা এই এলাকায় বাড়ি বাড়ি যাননি।

স্থানীয়রা বলছেন, তাদের এলাকায় অনেক বাড়িতেই ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে কেউ আসেনি। তারা অনেকে আবার জানেনই না যে, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলমান।

রামপুরার মতো বনশ্রী, নয়াটোলার মোরলগলি, আজিমপুর, খিলগাঁও, মোহাম্মদপুর, ডেমরা, মিরপুরের অনেক এলাকাতেও বাড়ি বাড়ি যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা। কোথাও কোথাও মাইকিং করে, বিদ্যুতের খুঁটি ও দেয়ালে যোগাযোগের নম্বর লিখে দায়িত্বপালন করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

২০২২ সালে তালিকা হালনাগাদের সময় ২২ লাখের বেশি মৃত ভোটার বাদ যায়। অথচ দুই বছর পর পাওয়া গেছে ১৫ লাখ মৃত ভোটার।

এ নিয়ে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মুনিরা খান বলেন, ‘ভোটার লিস্ট সঠিকভাবে করা হচ্ছে একটা নির্বাচনের প্রথম ধাপ। যদি একটা এলাকার ১০০ জনের মধ্যে ১৫ জনও তালিকায় না আসে, আমি বলব সেই এলাকায় সম্পূর্ণ ভোটটাই ত্রুটিপূর্ণ রয়ে গেল।’

নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।

কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘এবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরের বার সঠিকভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ করবে নির্বাচন কমিশন। এটি আমাদের জন্য একটা শিক্ষা হয়ে থাকবে।’ তবে কোনো তথ্য সংগ্রহকারী কোনো বাড়িতে না গেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

এ বছর কমিশনের লক্ষ্য ছিল ৬১ লাখ নতুন ভোটার নিবন্ধন করা। সেখানে হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভোটার তথ্য হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি যাননি কর্মীরা

আপডেট সময় : ১২:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কথা ছিল বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। কিন্তু অনেক এলাকাতেই তথ্য সংগ্রহকারীরা তা করেননি। রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, মিরপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার ফলে নতুন ভোটার নিবন্ধন হয়েছে ১১ লাখ কম। ইসির লক্ষ্য ছিল ৬১ লাখ, হয়েছে মাত্র ৫০ লাখ। এ ছাড়া, হালনাগাদে মৃত ভোটার বাদ পড়েছে ১৫ লাখ। যা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে, প্রশ্ন তৈরি হয়েছে প্রক্রিয়া নিয়ে।

চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলে। আর আজ বুধবার থেকে শুরু হবে ছবি তোলা, আঙুলে ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি গ্রহণের কাজ, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।

নির্বাচন কমিশন এরআগে ১২ কোটির বেশি ভোটারের তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাইয়ের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন।

হালনাগাদ কার্যক্রমের শেষ দিন সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রামপুরার ওয়াপদা রোড এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তথ্য সংগ্রহকারীরা এই এলাকায় বাড়ি বাড়ি যাননি।

স্থানীয়রা বলছেন, তাদের এলাকায় অনেক বাড়িতেই ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে কেউ আসেনি। তারা অনেকে আবার জানেনই না যে, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলমান।

রামপুরার মতো বনশ্রী, নয়াটোলার মোরলগলি, আজিমপুর, খিলগাঁও, মোহাম্মদপুর, ডেমরা, মিরপুরের অনেক এলাকাতেও বাড়ি বাড়ি যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা। কোথাও কোথাও মাইকিং করে, বিদ্যুতের খুঁটি ও দেয়ালে যোগাযোগের নম্বর লিখে দায়িত্বপালন করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

২০২২ সালে তালিকা হালনাগাদের সময় ২২ লাখের বেশি মৃত ভোটার বাদ যায়। অথচ দুই বছর পর পাওয়া গেছে ১৫ লাখ মৃত ভোটার।

এ নিয়ে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মুনিরা খান বলেন, ‘ভোটার লিস্ট সঠিকভাবে করা হচ্ছে একটা নির্বাচনের প্রথম ধাপ। যদি একটা এলাকার ১০০ জনের মধ্যে ১৫ জনও তালিকায় না আসে, আমি বলব সেই এলাকায় সম্পূর্ণ ভোটটাই ত্রুটিপূর্ণ রয়ে গেল।’

নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।

কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘এবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরের বার সঠিকভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ করবে নির্বাচন কমিশন। এটি আমাদের জন্য একটা শিক্ষা হয়ে থাকবে।’ তবে কোনো তথ্য সংগ্রহকারী কোনো বাড়িতে না গেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

এ বছর কমিশনের লক্ষ্য ছিল ৬১ লাখ নতুন ভোটার নিবন্ধন করা। সেখানে হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ।