বিশ্বখ্যাত সমাজসেবী এবং আধ্যাত্মিক নেতা প্রিন্স করিম আগা খান মারা গেছেন। তাঁর দাতব্য প্রতিষ্ঠান আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক আজ বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
৮৮ বছর বয়সে লিসবনে মারা যাওয়া আগা খান ছিলেন শিয়া ইসলামের ইসমাইলি সম্প্রদায়ের ৪৯তম বংশগত ইমাম, যারা সরাসরি নবী মুহাম্মদের বংশধর। আগা খানের দাতব্য প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতিতে জানিয়েছে, পর্তুগালের লিসবনে ‘শান্তিপূর্ণভাবে মারা যান তিনি।’
১৯৩৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর সুইজারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী আগা খানের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ছিল। পরে তিনি সুইজারল্যান্ডে ফিরে লে রোজি স্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর হার্ভার্ডে ইসলামের ইতিহাস নিয়ে পড়ালেখা করতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তিনি ফ্রান্সে থাকতেন।
আগা খানের দাদা স্যার সুলতান মোহাম্মদ শাহ আগা খান মারা গেলে ২০ বছর বয়সে শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ইমাম নিযুক্ত হন আগা খান।
রয়টার্স জানিয়েছে, আগা খানের মনোনীত উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করা হবে। তাঁর সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৮০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ১৩ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হয়েছিল।
প্রতিবেদন বলছে, আগা খানের দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত উন্নয়নশীল বিশ্বে শত শত হাসপাতাল, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রকল্প পরিচালনা করে। তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন উপভোগ করতেন, বাহামায় একটি ব্যক্তিগত দ্বীপ, একটি সুপার-ইয়ট এবং একটি ব্যক্তিগত জেট রয়েছ তাঁর।
আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, তারা ‘মহামান্যের পরিবার এবং বিশ্বব্যাপী ইসমাইলি সম্প্রদায়ের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ধর্মীয় সম্পৃক্ততা বা উৎস নির্বিশেষে আমরা আমাদের অংশীদারদের সাথে কাজ করে যাচ্ছি বিশ্বজুড়ে ব্যক্তি এবং সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য, যেমনটি তিনি চেয়েছিলেন।
মুসলিম সম্প্রদায় ইসমাইলিদের বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ, যার মধ্যে পাকিস্তানে ৫ লাখ লোক রয়েছে। ভারত, আফগানিস্তান এবং আফ্রিকাতেও বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে এই সম্প্রদায়ের।