ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: ফেভারিট পাকিস্তান-ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। টপ ফেভারিটের তকমা পাকিস্তান ও ভারতের। নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা আছে ভালো অবস্থানে। ইনজুরির কারণে সেরা দল গড়তে না পারলেও বড় আসরে সব সময়ই ভয়ংকর অস্ট্রেলিয়া। আর গত আসরের সুখস্মৃতি ভরসা যোগাচ্ছে টাইগারদের।

লাহোর, করাচি, রাওয়ালপিন্ডি কিংবা দুবাই; চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্লেয়িং গ্রাউন্ড তৈরি। ট্রফির লড়াইয়ে মেতে উঠার জন্য প্রস্তুত বিশ্বে সেরা দলগুলোও। তবে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা আসরে এলাম,দেখলাম, জয় করলাম এই তত্ত্ব খাটবে না। দলগতভাবে নিংড়ে দিতে হবে সর্বোচ্চটা। আর এখানেও উঠে আসে প্রত্যেকটি দলের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতার প্রসঙ্গ।

বৈশ্বিক আসরে টাইগারদের সাফল্যে থলিতে চৈত্রের খরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বশেষ আসরে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন সেই খরায় একফোঁটা স্বস্তি। দেশের ক্রিকেটের চিরাচরিত ইতিহাস মেনে এবারো একঝাঁক তরুণ নিয়ে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ। তবে পোড় খাওয়া রিয়াদ-তাসকিন-মুশফিকরা পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। আর ব্যাটিং পিচে মুস্তাফিজ তার কাটারের কারিশমা দেখাতে পারলে আন্ডারডগ দলটি হয়ে উঠতে পারে বিপক্ষের মাথাব্যথার কারণ।

বড় টুর্নামেন্টে ভারত বরাবরই হট ফেভারিট। তবে বুমরাহ’র ছিটকে যাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ টিম ইন্ডিয়ায়। তবে রোহিত-কোহলি-গিলদের নিয়ে সাজানো শক্তিশালী ব্যাটিং অর্ডার যেকোনো দলের জন্যই হুমকি স্বরূপ। আর জাসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতিতে বল হাতে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে শামি-আর্শদীপদের।

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন তার উপর স্বাগতিক। ট্রাইনেশন সিরিজ হারের পরও তাই পাকিস্তানের গায়ে সেটে আছে ফেভারিট তকমা। ব্যাট হাতে রিজওয়ান-বাবর-ফখরদের পাশাপাশি বাজির ঘোড়া হতে পারেন সালমান আলী আঘা। আর চেনা কন্ডিশনে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের পরীক্ষা নিবেন নাসিম শাহ-শাহিন আফ্রিদিরা। একমাত্র চিন্তার কারণ ইনজুরিতে আক্রান্ত হারিস রউফ।

কিউই ট্র্যাজেডি; ক্রিকেটের বড় আসরগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে নিয়মিত ঘটনা। তবে মিচেল সান্টনার-মাইকেল ব্রেসওয়েলদের স্পিন অ্যাটাক নতুন করে লিখতে পারে ব্ল্যাকক্যাপসদের ইতিহাস। অভিজ্ঞ কেন উইলিয়মসন, লকি ফার্গুসন সেই পথটা মসৃণ করার সামর্থ্য রাখেন। আর এক্স ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন গ্লেন ফিলিপস।

প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লড়াইয়ে শামিল আফগানিস্তান। রাশিদ খান-নবী-গুরবাজরা ছোট দলের বড় তারকা। তবে বল হাতে ভেলকি দেখাতে পারেন ফজল হক ফারুকীও। আলাদা করে আলো কাড়তে পারেন বাঁহাতি ব্যাটার সেদিকুল্লাহ আতাল।

খেলার ময়দানে নামার আগেই ইনজুরি উইলিতে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া। স্টার্ক-কামিন্সদের অনুপস্থিতি আর বোলিং ইউনিটের নতুন লাইন আপ নিয়ে অস্বস্তিতে অজিরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতার অভিশাপ কাটাতে তাই হিমশিম খেতে হবে ট্রাভিস হেড-স্মিথদের। একাদশে সুযোগ মিললে তারকা হয়ে উঠতে পারেন জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক-অ্যারন হার্ডিরা।

প্রায় সব দলে কম বেশি ইনজুরি জুজু থাকলেও অজিদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড আছে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে। রুট-ব্রুকদের ক্লাসিক ব্যাটিংয়ের সাথে

বাটলার-লিভিংস্টন-ফিল সল্টদের আগ্রাসী ব্যাটিং গড়তে পারে অপ্রতিরোধ্য কম্বিনেশন। এমন লাইন আপে বেন ডাকেট বোনাস। বোলিংয়ে বাকি কাজটা সারবেন মার্ক উড-অ্যাটকিনসনরা।

বিরানব্বই থেকে তেইশ সকল বৈশ্বিক আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গী চোকার্স নামের বিশেষণ। আলোচনায় না থাকলেও ক্লাসেন-মিলার-মার্করাম সামর্থ্য প্রতিপক্ষকে নাড়িয়ে দিতে সক্ষম। পাশাপাশি রাবাদা-এনগিডির সাথে তাবরিজ শামসি-মহারাজরাদের স্পিন চোকার্স তকমা ঘুচিয়ে বাভুমার দরকে পড়াতে পারে রাজার মুকুট।

নিউজটি শেয়ার করুন

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: ফেভারিট পাকিস্তান-ভারত

আপডেট সময় : ০৫:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। টপ ফেভারিটের তকমা পাকিস্তান ও ভারতের। নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা আছে ভালো অবস্থানে। ইনজুরির কারণে সেরা দল গড়তে না পারলেও বড় আসরে সব সময়ই ভয়ংকর অস্ট্রেলিয়া। আর গত আসরের সুখস্মৃতি ভরসা যোগাচ্ছে টাইগারদের।

লাহোর, করাচি, রাওয়ালপিন্ডি কিংবা দুবাই; চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্লেয়িং গ্রাউন্ড তৈরি। ট্রফির লড়াইয়ে মেতে উঠার জন্য প্রস্তুত বিশ্বে সেরা দলগুলোও। তবে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা আসরে এলাম,দেখলাম, জয় করলাম এই তত্ত্ব খাটবে না। দলগতভাবে নিংড়ে দিতে হবে সর্বোচ্চটা। আর এখানেও উঠে আসে প্রত্যেকটি দলের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতার প্রসঙ্গ।

বৈশ্বিক আসরে টাইগারদের সাফল্যে থলিতে চৈত্রের খরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বশেষ আসরে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন সেই খরায় একফোঁটা স্বস্তি। দেশের ক্রিকেটের চিরাচরিত ইতিহাস মেনে এবারো একঝাঁক তরুণ নিয়ে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ। তবে পোড় খাওয়া রিয়াদ-তাসকিন-মুশফিকরা পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। আর ব্যাটিং পিচে মুস্তাফিজ তার কাটারের কারিশমা দেখাতে পারলে আন্ডারডগ দলটি হয়ে উঠতে পারে বিপক্ষের মাথাব্যথার কারণ।

বড় টুর্নামেন্টে ভারত বরাবরই হট ফেভারিট। তবে বুমরাহ’র ছিটকে যাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ টিম ইন্ডিয়ায়। তবে রোহিত-কোহলি-গিলদের নিয়ে সাজানো শক্তিশালী ব্যাটিং অর্ডার যেকোনো দলের জন্যই হুমকি স্বরূপ। আর জাসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতিতে বল হাতে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে শামি-আর্শদীপদের।

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন তার উপর স্বাগতিক। ট্রাইনেশন সিরিজ হারের পরও তাই পাকিস্তানের গায়ে সেটে আছে ফেভারিট তকমা। ব্যাট হাতে রিজওয়ান-বাবর-ফখরদের পাশাপাশি বাজির ঘোড়া হতে পারেন সালমান আলী আঘা। আর চেনা কন্ডিশনে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের পরীক্ষা নিবেন নাসিম শাহ-শাহিন আফ্রিদিরা। একমাত্র চিন্তার কারণ ইনজুরিতে আক্রান্ত হারিস রউফ।

কিউই ট্র্যাজেডি; ক্রিকেটের বড় আসরগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে নিয়মিত ঘটনা। তবে মিচেল সান্টনার-মাইকেল ব্রেসওয়েলদের স্পিন অ্যাটাক নতুন করে লিখতে পারে ব্ল্যাকক্যাপসদের ইতিহাস। অভিজ্ঞ কেন উইলিয়মসন, লকি ফার্গুসন সেই পথটা মসৃণ করার সামর্থ্য রাখেন। আর এক্স ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন গ্লেন ফিলিপস।

প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লড়াইয়ে শামিল আফগানিস্তান। রাশিদ খান-নবী-গুরবাজরা ছোট দলের বড় তারকা। তবে বল হাতে ভেলকি দেখাতে পারেন ফজল হক ফারুকীও। আলাদা করে আলো কাড়তে পারেন বাঁহাতি ব্যাটার সেদিকুল্লাহ আতাল।

খেলার ময়দানে নামার আগেই ইনজুরি উইলিতে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া। স্টার্ক-কামিন্সদের অনুপস্থিতি আর বোলিং ইউনিটের নতুন লাইন আপ নিয়ে অস্বস্তিতে অজিরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতার অভিশাপ কাটাতে তাই হিমশিম খেতে হবে ট্রাভিস হেড-স্মিথদের। একাদশে সুযোগ মিললে তারকা হয়ে উঠতে পারেন জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক-অ্যারন হার্ডিরা।

প্রায় সব দলে কম বেশি ইনজুরি জুজু থাকলেও অজিদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড আছে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে। রুট-ব্রুকদের ক্লাসিক ব্যাটিংয়ের সাথে

বাটলার-লিভিংস্টন-ফিল সল্টদের আগ্রাসী ব্যাটিং গড়তে পারে অপ্রতিরোধ্য কম্বিনেশন। এমন লাইন আপে বেন ডাকেট বোনাস। বোলিংয়ে বাকি কাজটা সারবেন মার্ক উড-অ্যাটকিনসনরা।

বিরানব্বই থেকে তেইশ সকল বৈশ্বিক আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গী চোকার্স নামের বিশেষণ। আলোচনায় না থাকলেও ক্লাসেন-মিলার-মার্করাম সামর্থ্য প্রতিপক্ষকে নাড়িয়ে দিতে সক্ষম। পাশাপাশি রাবাদা-এনগিডির সাথে তাবরিজ শামসি-মহারাজরাদের স্পিন চোকার্স তকমা ঘুচিয়ে বাভুমার দরকে পড়াতে পারে রাজার মুকুট।