ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বে শান্তির দূত হয়ে উঠছে সৌদি আরব!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৪০৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্বে শান্তির দূত হয়ে উঠছে সৌদি আরব। হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির পর এবার রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি চুক্তিতেও মধ্যস্থতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে দেশটি। কঠিন এই সংকট সমাধানে ঠিক কী কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ডি-ফ্যাক্টো নেতা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ওপর ভরসা করছেন?

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করলেও এর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে সৌদি আরব। এ ইস্যুতে বৈঠক করতে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবে আসেন মার্কিন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে এক দল প্রতিনিধি। আসছে সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরও সৌদি সফরের কথা রয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি চুক্তি আলোচনায় সৌদি আরবকে কেন বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প ও পুতিন? এর উত্তর খুঁজেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। যেখানে বলা হয়, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয় দেশেরই ভরসা তৈরি হয়েছে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ওপর।

২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম আন্তর্জাতিক দেশ হিসেবে সৌদি আরব সফর করেন ট্রাম্প। এছাড়া ২০১৮ সালে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে কিছুটা টানাপড়েন তৈরি হলেও ইতোমধ্যেই তা কাটিয়ে উঠেছে রিয়াদ। এমনকি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরও তার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যান সালমান।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের সখ্যতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায় রিয়াদ। প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইসরাইলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ার জোর চেষ্টা চালান ট্রাম্প। আর তার এই প্রচেষ্টা অনেকটা সফল হলেও সেই তালিকায় এখনও যুক্ত হতে পারেনি সৌদি আরব। তবে এই মেয়াদে তা সম্পন্ন করতে চান তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও মোহাম্মদ বিন সালমানের রয়েছে বিস্তর বাণিজ্যিক সম্পর্ক। রাশিয়ার ওপর মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখতে মস্কোর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করেছে রিয়াদ। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে ২০২৩ সালে সৌদি সফর করেন পুতিন।

ট্রাম্প-পুতিন কিংবা চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখছে সৌদি সরকার। আর এর পেছনের কারণ হচ্ছে বৈশ্বিক রাজনীতিতে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বে শান্তির দূত হয়ে উঠছে সৌদি আরব!

আপডেট সময় : ০৫:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিশ্বে শান্তির দূত হয়ে উঠছে সৌদি আরব। হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির পর এবার রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি চুক্তিতেও মধ্যস্থতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে দেশটি। কঠিন এই সংকট সমাধানে ঠিক কী কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ডি-ফ্যাক্টো নেতা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ওপর ভরসা করছেন?

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করলেও এর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে সৌদি আরব। এ ইস্যুতে বৈঠক করতে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবে আসেন মার্কিন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে এক দল প্রতিনিধি। আসছে সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরও সৌদি সফরের কথা রয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি চুক্তি আলোচনায় সৌদি আরবকে কেন বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প ও পুতিন? এর উত্তর খুঁজেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। যেখানে বলা হয়, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয় দেশেরই ভরসা তৈরি হয়েছে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ওপর।

২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম আন্তর্জাতিক দেশ হিসেবে সৌদি আরব সফর করেন ট্রাম্প। এছাড়া ২০১৮ সালে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে কিছুটা টানাপড়েন তৈরি হলেও ইতোমধ্যেই তা কাটিয়ে উঠেছে রিয়াদ। এমনকি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরও তার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যান সালমান।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের সখ্যতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায় রিয়াদ। প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইসরাইলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ার জোর চেষ্টা চালান ট্রাম্প। আর তার এই প্রচেষ্টা অনেকটা সফল হলেও সেই তালিকায় এখনও যুক্ত হতে পারেনি সৌদি আরব। তবে এই মেয়াদে তা সম্পন্ন করতে চান তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও মোহাম্মদ বিন সালমানের রয়েছে বিস্তর বাণিজ্যিক সম্পর্ক। রাশিয়ার ওপর মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখতে মস্কোর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করেছে রিয়াদ। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে ২০২৩ সালে সৌদি সফর করেন পুতিন।

ট্রাম্প-পুতিন কিংবা চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখছে সৌদি সরকার। আর এর পেছনের কারণ হচ্ছে বৈশ্বিক রাজনীতিতে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করা।