ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি ভঙ্গ, ইসরাইলকে হিজবুল্লাহর হুমকি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হলেও এখনো দেশটিতে রয়েছে ইসরাইলি সেনারা। উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় লেবানন সীমান্তের ৫টি স্থানে সেনা মোতায়েন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ। মঙ্গলবারের মধ্যে লেবাননের ভূখণ্ড ছেড়ে না গেলে ইসরাইলকে করুণ পরিণতি ভোগের হুমকি হিজবুল্লাহর।

দীর্ঘ ১৩ মাসের যুদ্ধ শেষে গেল বছর ২৭ নভেম্বর হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করে ইসরাইল। চুক্তি মোতাবেক ২৬ জানুয়ারি নাগাদ লেবানন ভূখণ্ড থেকে আইডিএফের সেনা প্রত্যাহারের কথা ছিল। যদিও সে সময় শর্ত পালনে অস্বীকৃতি জানায় ইসরাইল। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ১৮ ফেব্রুয়ারি সেনা প্রত্যাহারের দিন ধার্য করা হয়।

ধার্যকৃত দিন চলে আসলেও নেতানিয়াহু সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তি মানার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উল্টো লেবাননের ৫টি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইডিএফ। বার্তা সংস্থা এপিকে এই তথ্য জানিয়েছেন ইসরাইলি সরকারের শীর্ষ এক কর্মকর্তা। বিষয়টিকে অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে ৫টি অঞ্চলে তৈরি করা হয়েছে মিলিটারি পোস্ট। যেখানে যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি ইসরাইলি সেনা মোতায়েন থাকবে। ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

দখলদারদের চুক্তি ভঙ্গের বিষয়ে সরব হয়েছে হিজবুল্লাহ। লেবাননের সশস্ত্র সংগঠনটির প্রধান জানান, মঙ্গলবারের মধ্যে লেবানিজ ভূখণ্ড থেকে সকল সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় ভোগ করতে হবে করুণ পরিণতি।

হিজবুল্লাহ প্রধান নাঈম কাশেম বলেন, ‘কোনো শর্ত ছাড়াই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইসরাইলকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় তাদের চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে দখলদার হিসেবে বিবেচনা করা হবে। দখলদারদের কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তা আমাদের ভালোভাবেই জানা রয়েছে।’

চুক্তি ভেঙ্গে নিয়মিতভিত্তিতে লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরবর্তী ৪৪ দিনে কমপক্ষে ৩৩০ বার হামলা চালানো হয়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জনের বেশি লেবাননের নাগরিক। যাদের বেশিরভাগই দক্ষিণাঞ্চলীয় গ্রামগুলোয় ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন।

সবশেষ সোমবার লেবাননের সিডনে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কাসাম ব্রিগেডের এক শীর্ষ কমান্ডার। বিষয়টির নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাবে গোষ্ঠীটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি ভঙ্গ, ইসরাইলকে হিজবুল্লাহর হুমকি

আপডেট সময় : ০৫:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হলেও এখনো দেশটিতে রয়েছে ইসরাইলি সেনারা। উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় লেবানন সীমান্তের ৫টি স্থানে সেনা মোতায়েন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ। মঙ্গলবারের মধ্যে লেবাননের ভূখণ্ড ছেড়ে না গেলে ইসরাইলকে করুণ পরিণতি ভোগের হুমকি হিজবুল্লাহর।

দীর্ঘ ১৩ মাসের যুদ্ধ শেষে গেল বছর ২৭ নভেম্বর হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করে ইসরাইল। চুক্তি মোতাবেক ২৬ জানুয়ারি নাগাদ লেবানন ভূখণ্ড থেকে আইডিএফের সেনা প্রত্যাহারের কথা ছিল। যদিও সে সময় শর্ত পালনে অস্বীকৃতি জানায় ইসরাইল। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ১৮ ফেব্রুয়ারি সেনা প্রত্যাহারের দিন ধার্য করা হয়।

ধার্যকৃত দিন চলে আসলেও নেতানিয়াহু সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তি মানার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উল্টো লেবাননের ৫টি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইডিএফ। বার্তা সংস্থা এপিকে এই তথ্য জানিয়েছেন ইসরাইলি সরকারের শীর্ষ এক কর্মকর্তা। বিষয়টিকে অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে ৫টি অঞ্চলে তৈরি করা হয়েছে মিলিটারি পোস্ট। যেখানে যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি ইসরাইলি সেনা মোতায়েন থাকবে। ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

দখলদারদের চুক্তি ভঙ্গের বিষয়ে সরব হয়েছে হিজবুল্লাহ। লেবাননের সশস্ত্র সংগঠনটির প্রধান জানান, মঙ্গলবারের মধ্যে লেবানিজ ভূখণ্ড থেকে সকল সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় ভোগ করতে হবে করুণ পরিণতি।

হিজবুল্লাহ প্রধান নাঈম কাশেম বলেন, ‘কোনো শর্ত ছাড়াই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইসরাইলকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় তাদের চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে দখলদার হিসেবে বিবেচনা করা হবে। দখলদারদের কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তা আমাদের ভালোভাবেই জানা রয়েছে।’

চুক্তি ভেঙ্গে নিয়মিতভিত্তিতে লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরবর্তী ৪৪ দিনে কমপক্ষে ৩৩০ বার হামলা চালানো হয়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জনের বেশি লেবাননের নাগরিক। যাদের বেশিরভাগই দক্ষিণাঞ্চলীয় গ্রামগুলোয় ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন।

সবশেষ সোমবার লেবাননের সিডনে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কাসাম ব্রিগেডের এক শীর্ষ কমান্ডার। বিষয়টির নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাবে গোষ্ঠীটি।