ঢাকা ১১:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পানির অভাবে তিস্তার চরে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৪১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পানির অভাবে লালমনিরহাটের তিস্তার চরে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। নদীতে পানির অভাবে জমিতে সেচ দিতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে কমে এসেছে চাষাবাদ, কর্মহীন হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া হাজারো মানুষ। সমস্যা সমাধানে তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন চর এলাকার বাসিন্দারা। সম্প্রতি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুর বিভাগে ৪৮ ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সর্বস্তরের মানুষ।

তিস্তার বুকজুড়ে এখন কেবল ধুধু বালুচর। এক সময়ের খরস্রোতা তিস্তার নাব্যতা কমে আসায় ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ।

তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া জেলার অনাবাদি জমি সেচের আওতায় আনতে চালু করা হয় তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্প। পরবর্তীতে ভারত নদীটির পানি একচেটিয়া ভোগ করায় তিস্তা এখন মৃতপ্রায়।

এতে সুফল মিলছে না সেচ প্রকল্পের। এক সময় তিস্তার পানি ব্যবহার করে ধান,গম,ভুট্টা,সরিষাসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফসল ঘরে তোলার সুযোগ হয়েছিল চাষীদের। কিন্তু সেই তিস্তা শুকিয়ে গেছে। বর্তমানে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প এলাকায় পানি ছয় হাজার থেকে নেমেছে আটশো কিউসেকে। পানির অভাবে চাষাবাদ করতে না পারায় লালমনিরহাটের ৬৩টি চরাঞ্চলের ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। এতে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা।

প্রাকৃতিক জলাধারের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি কৃষকদের খরাসহিষ্ণু জাতের সবজি চাষের পরামর্শ দিয়েছে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. শাহ আলম মিয়া।

চাষাবাদের সুবিধার্থে তিস্তা ভাঙন প্রকল্পের আওতায় নদীর বেশ কিছু স্থানে খনন করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় ।

এদিকে, তিস্তাপাড়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে গত ১৭ ও ১৮ ফেব্র“য়ারি রংপুর বিভাগের ১১টি পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও নদী তীরবর্তী জনপদের মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

পানির অভাবে তিস্তার চরে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ

আপডেট সময় : ০১:৪১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

পানির অভাবে লালমনিরহাটের তিস্তার চরে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। নদীতে পানির অভাবে জমিতে সেচ দিতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে কমে এসেছে চাষাবাদ, কর্মহীন হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া হাজারো মানুষ। সমস্যা সমাধানে তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন চর এলাকার বাসিন্দারা। সম্প্রতি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুর বিভাগে ৪৮ ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সর্বস্তরের মানুষ।

তিস্তার বুকজুড়ে এখন কেবল ধুধু বালুচর। এক সময়ের খরস্রোতা তিস্তার নাব্যতা কমে আসায় ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ।

তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া জেলার অনাবাদি জমি সেচের আওতায় আনতে চালু করা হয় তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্প। পরবর্তীতে ভারত নদীটির পানি একচেটিয়া ভোগ করায় তিস্তা এখন মৃতপ্রায়।

এতে সুফল মিলছে না সেচ প্রকল্পের। এক সময় তিস্তার পানি ব্যবহার করে ধান,গম,ভুট্টা,সরিষাসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফসল ঘরে তোলার সুযোগ হয়েছিল চাষীদের। কিন্তু সেই তিস্তা শুকিয়ে গেছে। বর্তমানে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প এলাকায় পানি ছয় হাজার থেকে নেমেছে আটশো কিউসেকে। পানির অভাবে চাষাবাদ করতে না পারায় লালমনিরহাটের ৬৩টি চরাঞ্চলের ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। এতে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা।

প্রাকৃতিক জলাধারের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি কৃষকদের খরাসহিষ্ণু জাতের সবজি চাষের পরামর্শ দিয়েছে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. শাহ আলম মিয়া।

চাষাবাদের সুবিধার্থে তিস্তা ভাঙন প্রকল্পের আওতায় নদীর বেশ কিছু স্থানে খনন করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় ।

এদিকে, তিস্তাপাড়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে গত ১৭ ও ১৮ ফেব্র“য়ারি রংপুর বিভাগের ১১টি পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও নদী তীরবর্তী জনপদের মানুষ।