ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘ক্ষমা চাইব না’ স্পষ্ট জানালেন জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরে মাঝপথেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর এই ব্যবহার বা আচরণকে আমেরিকার অপমান বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। যদিও ইউরোপের বিভিন্ন দেশকে পাশে পাচ্ছেন জেলেনস্কি। অন্তত ৩১টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সমর্থনে মুখ খুলেছেন। পাল্টা তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুক্রবারের বৈঠকটি মার্কিন-ইউক্রেন সম্পর্ক জোরদার করবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু উল্টো ফল দিয়েছে। জেলেনস্কির সাহায্য চাওয়ার পদ্ধতির সমালোচনা ট্রাম্প করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

উত্তপ্ত বৈঠকের পর ইউরোপীয় নেতারা কিয়েভের প্রতি তাঁদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতি জারি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ জেলেনস্কির টাইমলাইন ইউরোপীয় মিত্র এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সমর্থনের মেসেজে ভরে গিয়েছিল। সব নেতার সমর্থনের জবাবে তিনি লিখেছেন, আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। স্লোভেনিয়া, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, কানাডা, রোমানিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, পর্তুগাল, সুইডেন, জার্মানি, নরওয়ে, চেক রিপাবলিক, লিথুয়ানিয়া, মলদোভা, স্পেন, পোল্যান্ড, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করা হয়েছে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থনের বার্তা দিয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘যারা শুরু থেকেই লড়াই করে আসছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা। কারণ তারা তাদের মর্যাদা, তাদের স্বাধীনতা, তাদের সন্তান এবং ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য লড়াই করছে।’ পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় জেলেনস্কির উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘আপনি একা নন।”

এর আগে জেলেনস্কির বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করার অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প। দুই নেতা ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের বিষয়ে একটি চুক্তি করবেন বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু জেলেনস্কি চুক্তিতে স্বাক্ষর না করেই হোয়াইট হাউস ছাড়েন। ট্রাম্প আরও বলেন, জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত নন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইবেন কি না জানতে চাইলে এনিয়ে পরে সংবাদমাধ্যমকে জেনেনস্কি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টকে সম্মান করি। কিন্তু ক্ষমা চাইছি না। আমি আমেরিকার জনগণকেও সম্মান করি। আমার মনে হয় না আমরা কিছু ভুল করেছি।’ ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি চাই তিনি (ট্রাম্প) মাঝখানে থাকুন। আমি এটাও চাই তিনি আমাদের পাশে থাকুক।’ শুক্রবারের উত্তপ্ত বিতর্কের পরে কি তাXর এবং ট্রাম্পের সম্পর্কের উন্নতি হতে পারে? এর উত্তরে জেলেনস্কি বলেন, ‘হ্যাঁ, একেবারেই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

‘ক্ষমা চাইব না’ স্পষ্ট জানালেন জেলেনস্কি

আপডেট সময় : ০২:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরে মাঝপথেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর এই ব্যবহার বা আচরণকে আমেরিকার অপমান বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। যদিও ইউরোপের বিভিন্ন দেশকে পাশে পাচ্ছেন জেলেনস্কি। অন্তত ৩১টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সমর্থনে মুখ খুলেছেন। পাল্টা তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুক্রবারের বৈঠকটি মার্কিন-ইউক্রেন সম্পর্ক জোরদার করবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু উল্টো ফল দিয়েছে। জেলেনস্কির সাহায্য চাওয়ার পদ্ধতির সমালোচনা ট্রাম্প করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

উত্তপ্ত বৈঠকের পর ইউরোপীয় নেতারা কিয়েভের প্রতি তাঁদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতি জারি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ জেলেনস্কির টাইমলাইন ইউরোপীয় মিত্র এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সমর্থনের মেসেজে ভরে গিয়েছিল। সব নেতার সমর্থনের জবাবে তিনি লিখেছেন, আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। স্লোভেনিয়া, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, কানাডা, রোমানিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, পর্তুগাল, সুইডেন, জার্মানি, নরওয়ে, চেক রিপাবলিক, লিথুয়ানিয়া, মলদোভা, স্পেন, পোল্যান্ড, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করা হয়েছে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থনের বার্তা দিয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘যারা শুরু থেকেই লড়াই করে আসছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা। কারণ তারা তাদের মর্যাদা, তাদের স্বাধীনতা, তাদের সন্তান এবং ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য লড়াই করছে।’ পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় জেলেনস্কির উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘আপনি একা নন।”

এর আগে জেলেনস্কির বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করার অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প। দুই নেতা ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের বিষয়ে একটি চুক্তি করবেন বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু জেলেনস্কি চুক্তিতে স্বাক্ষর না করেই হোয়াইট হাউস ছাড়েন। ট্রাম্প আরও বলেন, জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত নন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইবেন কি না জানতে চাইলে এনিয়ে পরে সংবাদমাধ্যমকে জেনেনস্কি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টকে সম্মান করি। কিন্তু ক্ষমা চাইছি না। আমি আমেরিকার জনগণকেও সম্মান করি। আমার মনে হয় না আমরা কিছু ভুল করেছি।’ ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি চাই তিনি (ট্রাম্প) মাঝখানে থাকুন। আমি এটাও চাই তিনি আমাদের পাশে থাকুক।’ শুক্রবারের উত্তপ্ত বিতর্কের পরে কি তাXর এবং ট্রাম্পের সম্পর্কের উন্নতি হতে পারে? এর উত্তরে জেলেনস্কি বলেন, ‘হ্যাঁ, একেবারেই।’