শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পূর্বাচলে ১০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দ মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। শিগগিরই অভিযোগপত্র দিতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে আসামির তালিকায় যোগ হচ্ছে আরও দুই নাম।
২০২২ সালে শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের ছয় সদস্য ১০ কাঠা করে প্লট পান। রাজধানীতে প্লট থাকা স্বত্বেও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এসব প্লট অবৈধভাবে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। জানুয়ারি মাসে শেখ হাসিনা, রেহানা ও তাদের সন্তানসহ ১৪ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করে দুদক।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, প্রায় দেড় মাস তদন্তের পর মার্চের প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দায়ের করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। আসামির তালিকায় যোগ হচ্ছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব- ১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের নাম।
আক্তার হোসেন আরও জানান, শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত আনতে হলে তার বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগপত্র থাকতে হবে। তাই গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত তদন্ত শেষ করেছে দুদক।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে এসব মামলায় আসামি করার পর ব্রিটেনের লেবার পার্টির মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক।