ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আইন নিজ হাতে তুলে নিলে সমাজে শৃঙ্খলা ফিরবে না: জামায়াত আমির

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ রোববার (২ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে ওলামা ও এতিমদের সম্মানে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ আহ্বান জানান তিনি। বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নিলে সমাজে শৃঙ্খলা ফিরবে না।

আওয়ামী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অতীতে দফায় দফায় আলেম ওলামা দিয়ে বাংলাদেশের জেলগুলো পূরণ করা হয়েছে। ডাকাত আর ধর্ষকেরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করেছে। আয়না ঘরের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা এ সমাজে ঘটেছে। সম্প্রতি সমাজের যা ক্ষতি হয়েছে, আরও বেশি হতে পারতো। তবে কোনো ক্ষতির পক্ষে জামায়াতে ইসলামী নয়।

জামায়াত আমির বলেন, দ্বীনই আমাদের জীবনোদ্দেশ্য। দেশে দ্বীনের শিক্ষা যত সম্প্রসারিত হবে, ততই সমাজ আলোকিত হয়ে উঠবে। আর দ্বীনের শিক্ষা সংকোচিত হলে নেমে আসবে অন্ধকার। যার প্রমাণই হচ্ছে পতিত আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের অপশাসন-দুঃশাসন। সেসময় দেশবরেণ্য আলেম-উলামাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ আর পায়ে ছিল ডান্ডাবেড়ি। অথচ চোর, ডাকাত, অপরাধী ও সমাজবিরোধীরা গোটা দেশ নির্বিঘ্নে দাপিয়ে বেড়িয়েছে।

তিনি নিজের গ্রেপ্তারের দুঃসহ স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গভীর রাতে। কিন্তু আমাকে আয়নাঘরে রাখা না হলেও আমি তা দেখেছি। এমনভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল যেন তারা কোনো ভয়ংকর অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রথম কয়েকদিন কেরানীগঞ্জ কারাগারে রাখার পর আমিসহ ৩৮ জন বরেণ্য আলেমকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বদলি করা হয়। গাড়িতে আমি ছাড়া প্রত্যেকের হাতে হ্যান্ডকাফ ও পায়ে বেড়ি পড়া দেখে আমি কেঁদেছি। কিন্তু মহান আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক পরিবেশ দিয়েছেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এ দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও নানা ধর্মের মানুষের বসবাস। তারা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। মানুষ হিসেবে সকলের কল্যাণে কাজ করা আমাদের কর্তব্য। ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন এক বাংলাদেশ পেয়েছি। তারা ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকলের নিরাপত্তার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করেছে।

এসময় সবাইকে এতিমদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানান শফিকুর রহমান।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আইন নিজ হাতে তুলে নিলে সমাজে শৃঙ্খলা ফিরবে না: জামায়াত আমির

আপডেট সময় : ০৮:৪৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ রোববার (২ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে ওলামা ও এতিমদের সম্মানে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ আহ্বান জানান তিনি। বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নিলে সমাজে শৃঙ্খলা ফিরবে না।

আওয়ামী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অতীতে দফায় দফায় আলেম ওলামা দিয়ে বাংলাদেশের জেলগুলো পূরণ করা হয়েছে। ডাকাত আর ধর্ষকেরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করেছে। আয়না ঘরের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা এ সমাজে ঘটেছে। সম্প্রতি সমাজের যা ক্ষতি হয়েছে, আরও বেশি হতে পারতো। তবে কোনো ক্ষতির পক্ষে জামায়াতে ইসলামী নয়।

জামায়াত আমির বলেন, দ্বীনই আমাদের জীবনোদ্দেশ্য। দেশে দ্বীনের শিক্ষা যত সম্প্রসারিত হবে, ততই সমাজ আলোকিত হয়ে উঠবে। আর দ্বীনের শিক্ষা সংকোচিত হলে নেমে আসবে অন্ধকার। যার প্রমাণই হচ্ছে পতিত আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের অপশাসন-দুঃশাসন। সেসময় দেশবরেণ্য আলেম-উলামাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ আর পায়ে ছিল ডান্ডাবেড়ি। অথচ চোর, ডাকাত, অপরাধী ও সমাজবিরোধীরা গোটা দেশ নির্বিঘ্নে দাপিয়ে বেড়িয়েছে।

তিনি নিজের গ্রেপ্তারের দুঃসহ স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গভীর রাতে। কিন্তু আমাকে আয়নাঘরে রাখা না হলেও আমি তা দেখেছি। এমনভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল যেন তারা কোনো ভয়ংকর অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রথম কয়েকদিন কেরানীগঞ্জ কারাগারে রাখার পর আমিসহ ৩৮ জন বরেণ্য আলেমকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বদলি করা হয়। গাড়িতে আমি ছাড়া প্রত্যেকের হাতে হ্যান্ডকাফ ও পায়ে বেড়ি পড়া দেখে আমি কেঁদেছি। কিন্তু মহান আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক পরিবেশ দিয়েছেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এ দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও নানা ধর্মের মানুষের বসবাস। তারা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। মানুষ হিসেবে সকলের কল্যাণে কাজ করা আমাদের কর্তব্য। ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন এক বাংলাদেশ পেয়েছি। তারা ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকলের নিরাপত্তার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করেছে।

এসময় সবাইকে এতিমদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানান শফিকুর রহমান।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত।