ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর সংঘাত আরও বাড়তে পারে এমন উত্তেজনা এড়াতে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স :::: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীকে 'উদ্বেগজনক' আখ্যা দিয়ে ডাচ প্রধানমন্ত্রী সব পক্ষকে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধের আহ্বান জানিয়েছেন :::: ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইস্তাম্বুলে বলেছেন যে তিনি রবিবার বিকেলে মস্কো যাবেন এবং মার্কিন হামলার পরে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিনের সাথে সাক্ষাত করবেন :::: ইরানের ওপর মার্কিন হামলার পর 'সংযম' প্রদর্শনের আহ্বান সৌদি আরবের :::: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বোমা হামলায় পরিস্থিতির অবনতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে কাতার :::: ইরানে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে ওমান, যুদ্ধের বিস্তারের ঝুঁকি রয়েছে

প্রতিহিংসার রাজনীতিতে সৌহার্দ্য বয়ে আনে রমজান

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৩৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সময়ের সাথে প্রসার ঘটেছে ইফতারকেন্দ্রীক রাজনীতির। রমজানজুড়ে রাজনৈতিক দলগুলো ইফতার আয়োজনের মধ্যদিয়ে সৌহার্দ্য বিনিময়ের পাশাপাশি দলকে সংগঠিত করার কাজ করেন। রাজনীতিবিদরা বলছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সংগঠন ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের সাথে সমন্বয় বাড়াতে ভূমিকা রাখবে ইফতার আয়োজন। এর মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়ানো ও তৃণমূলকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনেও রয়েছে দলগুলোর।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঐক্য যেন এক দুর্লভ বিষয়। বাকযুদ্ধ, অসহিষ্ণুতা, সহিংসতা এমনকি প্রতিপক্ষকে হত্যার মতো ঘটনা রাজনীতির পরতে পরতে।

তবে প্রতিহিংসার রাজনীতিতে সৌহার্দ্য বয়ে আনে রমজান। এ সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে ইফতার মাহফিল এক ধরনের জনসংযোগ। রমজানজুড়েই চলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এই কার্যক্রম। প্রতি বছর রোজায় বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে থাকে। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি থাকে দলকে চাঙ্গা করার নানা পরিকল্পনাও।

এসব আয়োজনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলীয় নেতারা। জোরালো হয় দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বন্ধন। চলে সমর্থক ও পেশাজীবীদের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের কাজও।

রাজনীতিবিদরা বলছেন, এমন আয়োজনের মধ্য দিয়ে তৈরি হয় সম্পর্কের সেতুবন্ধন। দলীয় ঐক্য জোরালো হওয়ার পাশাপাশি পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, সমালোচকসহ নানা শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের সৌহার্দ্য বাড়াতে সহায়ক হয় ইফতার মাহফিলের মতো আয়োজন।

সময়ের সাথে জনপ্রিয় হয়েছে ইফতার কেন্দ্রীক রাজনীতির। তবে বিগত ১৬ বছরে অনেক রাজনৈতিক দলই স্বস্তির সাথে ইফতার আয়োজন করতে পারেনি। জামায়াতের কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, এবার কর্তৃত্ববাদের রাহুমুক্ত হয়ে সব দলই নিজস্ব সামর্থ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ইফতার আয়োজন করবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, রমজানকে ঘিরে ইফতারের আয়োজন নতুন নয়। নির্বাচন আসন্ন, তাই রমজান মাসে ইফতার আয়োজনের মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়ানো ও তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।

ইফতার আয়োজনে যে রাজনীতির ছোঁয়া, তা নির্বাচনী ডামাডোলে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা হয়তো সময়ই বলে দেবে। তবে রাজনীতির পাশাপাশি রমজানের পবিত্রতাকেও ধারণ করার আহ্বান রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রতিহিংসার রাজনীতিতে সৌহার্দ্য বয়ে আনে রমজান

আপডেট সময় : ০২:৩৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

সময়ের সাথে প্রসার ঘটেছে ইফতারকেন্দ্রীক রাজনীতির। রমজানজুড়ে রাজনৈতিক দলগুলো ইফতার আয়োজনের মধ্যদিয়ে সৌহার্দ্য বিনিময়ের পাশাপাশি দলকে সংগঠিত করার কাজ করেন। রাজনীতিবিদরা বলছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সংগঠন ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের সাথে সমন্বয় বাড়াতে ভূমিকা রাখবে ইফতার আয়োজন। এর মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়ানো ও তৃণমূলকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনেও রয়েছে দলগুলোর।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঐক্য যেন এক দুর্লভ বিষয়। বাকযুদ্ধ, অসহিষ্ণুতা, সহিংসতা এমনকি প্রতিপক্ষকে হত্যার মতো ঘটনা রাজনীতির পরতে পরতে।

তবে প্রতিহিংসার রাজনীতিতে সৌহার্দ্য বয়ে আনে রমজান। এ সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে ইফতার মাহফিল এক ধরনের জনসংযোগ। রমজানজুড়েই চলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এই কার্যক্রম। প্রতি বছর রোজায় বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে থাকে। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি থাকে দলকে চাঙ্গা করার নানা পরিকল্পনাও।

এসব আয়োজনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলীয় নেতারা। জোরালো হয় দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বন্ধন। চলে সমর্থক ও পেশাজীবীদের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের কাজও।

রাজনীতিবিদরা বলছেন, এমন আয়োজনের মধ্য দিয়ে তৈরি হয় সম্পর্কের সেতুবন্ধন। দলীয় ঐক্য জোরালো হওয়ার পাশাপাশি পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, সমালোচকসহ নানা শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের সৌহার্দ্য বাড়াতে সহায়ক হয় ইফতার মাহফিলের মতো আয়োজন।

সময়ের সাথে জনপ্রিয় হয়েছে ইফতার কেন্দ্রীক রাজনীতির। তবে বিগত ১৬ বছরে অনেক রাজনৈতিক দলই স্বস্তির সাথে ইফতার আয়োজন করতে পারেনি। জামায়াতের কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, এবার কর্তৃত্ববাদের রাহুমুক্ত হয়ে সব দলই নিজস্ব সামর্থ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ইফতার আয়োজন করবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, রমজানকে ঘিরে ইফতারের আয়োজন নতুন নয়। নির্বাচন আসন্ন, তাই রমজান মাসে ইফতার আয়োজনের মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়ানো ও তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।

ইফতার আয়োজনে যে রাজনীতির ছোঁয়া, তা নির্বাচনী ডামাডোলে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা হয়তো সময়ই বলে দেবে। তবে রাজনীতির পাশাপাশি রমজানের পবিত্রতাকেও ধারণ করার আহ্বান রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের।