প্রথম দিনেই জমজমাট চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার

- আপডেট সময় : ০৮:২১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে

রমজানের প্রথম দিনে জমে উঠেছে পুরান ঢাকার চকবাজারে ঐতিহ্যবাহী ইফতার সামগ্রীর বাজার। দূরদূরান্ত থেকে ভোজনরসিকরা মুখরোচক ইফতারসামগ্রী কিনতে ছুটে আসেন এখানে। বলছেন, শুধু ঐতিহ্যগত কারণেই নয়, গুণগতমান ও স্বাদের জন্যও এই বাজারে আসেন তারা। বাড়তি দাম নিয়ে নেই অভিযোগ। রোজার শেষ দিন পর্যন্ত জমজমাট ইফতার বিক্রির আশা ব্যবসায়ীদের।
বরাবরের মতো এবারও রমজানের প্রথম দিন চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতার কিনতে ছুটে যান নগরবাসী।
এখানকার ইফতারের ভেতর রয়েছে নানা ভিন্নতা। ভিন্নরকম এসব ইফতারের ভেতর রয়েছে আস্ত মুরগির কাবাব, বটি কাবাব, টিকা কাবাব, কোপ্তা, চিকেন কাঠি, শামি কাবাব, শিক কাবাব, সুতি কাবাব, কোয়েল পাখির রোস্ট, কবুতরের রোস্ট, সাধারণ জিলাপি, শাহি জিলাপি, নিম পাকোরা, সমুচা, আলাউদ্দিনের হালুয়া, হালিম, দইবড়া, কাশ্মীরি শরবত, ৩৬ উপকরণের মজাদার খাবার বড়বাপের পোলার বাপে খায়।
দূর দূরান্ত থেকে এসে এই যে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ইফতার কেনা, তা কেবল ঐতিহ্যগত কারণেই নয়, গুণগতমান ও স্বাদের জন্যেও তাদের এখানে আসা।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘এটা একটা ঐতিহ্য ধারণ করে আসছে, ইফতারের একটা আয়োজন তারা করে আসছে। আর আজকে রমজানের প্রথম দিন সেজন্য এখানে আসা আমার।’
বড়বাপের পোলার বাপে খায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, দই বড়া পরিমাণ ভেদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দই বড়া, জিলাপি, কাবারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
মূল্যস্ফীতির এই বাজারেও ইফতারের দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট নয় ক্রেতারা।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘গতবারের চেয়ে এবার দাম একটু কম। প্রতিবছরই এখানে আসার চেষ্টা করি।’
বরাবরই খাবারের মান রক্ষা করা হয় বলেই এখানকার ইফতারের চাহিদায় কখনো ভাটা পড়ে না বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
একজন বিক্রেতা বলেন, ‘এটা ঐতিহ্যবাহী একটা বাজার, মানুষের আগ্রহ ভালো। এখানে মানুষ আসবেই।’
ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, রোজার শেষ দিন পর্যন্ত থাকবে জমজমাট বেচাকেনা।