ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে নেওয়া হলো ‘অজ্ঞাত স্থানে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও তার পরিবারকে ‌‘অজ্ঞাত স্থানে’ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শনিবার পরিবারের সঙ্গে ভারমন্ট রাজ্যে ছুটিতে গেলে একদল ইউক্রেন সমর্থক বিক্ষোভকারী তাকে ঘিরে ফেলেন। বিক্ষোভকারীরা ভ্যান্সের গাড়িবহর দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ও তাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে শুরু করেন। ফলে সেই ছুটি বাধাগ্রস্ত হয়। ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকের পরই এই বিক্ষোভ শুরু হয়।

এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে হওয়া বৈঠক থেকে। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, আর সেই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ভ্যান্স।

বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে শুরু হলেও হঠাৎ করেই ভ্যান্স জেলেনস্কির ওপর তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন, যা জেলেনস্কিকে পুরোপুরি অপ্রস্তুত করে ফেলে। ওই বৈঠকে যখন জেলেনস্কি কূটনৈতিক সমাধান নিয়ে ভ্যান্সের বক্তব্য জানতে চান তখন ভ্যান্স পাল্টা বলেন, ‘আমি এমন কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাবে।’

ভ্যান্স আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আপনার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আমেরিকান মিডিয়ার সামনে এসে এভাবে বিষয়টি উত্থাপন করা আপনার পক্ষ থেকে অসম্মানজনক।’

তবে, কিছু রিপাবলিকান নেতা ভ্যান্সের অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। দক্ষিণ ক্যারোলাইনার সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনের পক্ষে এবং কঠোর পররাষ্ট্রনীতির সমর্থক হোয়াইট হাউজের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, আমি জেডি ভ্যান্সের এমন সাহসী অবস্থানের জন্য গর্বিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে নেওয়া হলো ‘অজ্ঞাত স্থানে’

আপডেট সময় : ০৩:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও তার পরিবারকে ‌‘অজ্ঞাত স্থানে’ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শনিবার পরিবারের সঙ্গে ভারমন্ট রাজ্যে ছুটিতে গেলে একদল ইউক্রেন সমর্থক বিক্ষোভকারী তাকে ঘিরে ফেলেন। বিক্ষোভকারীরা ভ্যান্সের গাড়িবহর দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ও তাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে শুরু করেন। ফলে সেই ছুটি বাধাগ্রস্ত হয়। ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকের পরই এই বিক্ষোভ শুরু হয়।

এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে হওয়া বৈঠক থেকে। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, আর সেই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ভ্যান্স।

বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে শুরু হলেও হঠাৎ করেই ভ্যান্স জেলেনস্কির ওপর তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন, যা জেলেনস্কিকে পুরোপুরি অপ্রস্তুত করে ফেলে। ওই বৈঠকে যখন জেলেনস্কি কূটনৈতিক সমাধান নিয়ে ভ্যান্সের বক্তব্য জানতে চান তখন ভ্যান্স পাল্টা বলেন, ‘আমি এমন কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাবে।’

ভ্যান্স আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আপনার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আমেরিকান মিডিয়ার সামনে এসে এভাবে বিষয়টি উত্থাপন করা আপনার পক্ষ থেকে অসম্মানজনক।’

তবে, কিছু রিপাবলিকান নেতা ভ্যান্সের অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। দক্ষিণ ক্যারোলাইনার সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনের পক্ষে এবং কঠোর পররাষ্ট্রনীতির সমর্থক হোয়াইট হাউজের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, আমি জেডি ভ্যান্সের এমন সাহসী অবস্থানের জন্য গর্বিত।