ঢাকা ০৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর সংঘাত আরও বাড়তে পারে এমন উত্তেজনা এড়াতে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স :::: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীকে 'উদ্বেগজনক' আখ্যা দিয়ে ডাচ প্রধানমন্ত্রী সব পক্ষকে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধের আহ্বান জানিয়েছেন :::: ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইস্তাম্বুলে বলেছেন যে তিনি রবিবার বিকেলে মস্কো যাবেন এবং মার্কিন হামলার পরে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিনের সাথে সাক্ষাত করবেন :::: ইরানের ওপর মার্কিন হামলার পর 'সংযম' প্রদর্শনের আহ্বান সৌদি আরবের :::: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বোমা হামলায় পরিস্থিতির অবনতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে কাতার :::: ইরানে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে ওমান, যুদ্ধের বিস্তারের ঝুঁকি রয়েছে

স্বপ্ন দেখি ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভেতরেই যেন ভবিষ্যৎ দেখতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / ৪২৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন, কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা দেখতে চান। আমি বলব, আমি স্বপ্ন দেখি এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থার যেখানে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে।

বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি এসব কথা বলেন।

নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, দেশে বড় রকমের একটা পরিবর্তন হয়েছে। আমরা ভাবিনি আমাদের জীবদ্দশায় এভাবে মুক্তভাবে কথা বলতে পারব। প্রধান উপদেষ্টা আমাকে যে দায়িত্বটা দিয়েছেন সেটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন, সামনে যে জার্নিটা ইজি হবে তা নয়।

সি আর আবরার বলেন, শিক্ষা একটা বিশাল জগৎ। আমরা সবাই জনগণের টাকায় বড় হয়েছি। সুতরাং জনগণের প্রতি আমাদের অনেক দায়বদ্ধতা আছে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে। দেশে থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। আমি জানি এটা হয়তো দ্রুত হবে না কিন্তু এর একটা ভিত্তি আমরা তৈরি করতে চাই।

এদিকে দায়িত্ব হস্তান্তরকালে সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, শিক্ষা কমিশন অতীতে ৫ থেকে ৬টি হয়েছে। তারা কি সমস্যার সমাধান করেছে? কয়েকজনকে বসিয়ে দিয়ে কমিশন করলেই কি সমস্যার সমাধান হবে? তাদের সবকিছু বুঝতেই তো অনেক সময় চলে যাবে। আমাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একটি কমিশন হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, অনেকেই জানে না বেসরকারি খাতের শিক্ষকদের কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। নায়েমসহ এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শুধু সরকারি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অথচ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি। সুতরাং নতুন কমিশন এসে এসব বিষয় বিবেচনায় নেবে।

তিনি আরও বলেন, কারিকুলাম ভালো করার পর প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকলে তো কাজ হবে না। শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট হতে অনেক সময় লাগে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই বিশৃঙ্খল ও অবিন্যস্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বপ্ন দেখি ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভেতরেই যেন ভবিষ্যৎ দেখতে পারে

আপডেট সময় : ০৩:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন, কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা দেখতে চান। আমি বলব, আমি স্বপ্ন দেখি এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থার যেখানে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে।

বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি এসব কথা বলেন।

নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, দেশে বড় রকমের একটা পরিবর্তন হয়েছে। আমরা ভাবিনি আমাদের জীবদ্দশায় এভাবে মুক্তভাবে কথা বলতে পারব। প্রধান উপদেষ্টা আমাকে যে দায়িত্বটা দিয়েছেন সেটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন, সামনে যে জার্নিটা ইজি হবে তা নয়।

সি আর আবরার বলেন, শিক্ষা একটা বিশাল জগৎ। আমরা সবাই জনগণের টাকায় বড় হয়েছি। সুতরাং জনগণের প্রতি আমাদের অনেক দায়বদ্ধতা আছে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে। দেশে থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। আমি জানি এটা হয়তো দ্রুত হবে না কিন্তু এর একটা ভিত্তি আমরা তৈরি করতে চাই।

এদিকে দায়িত্ব হস্তান্তরকালে সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, শিক্ষা কমিশন অতীতে ৫ থেকে ৬টি হয়েছে। তারা কি সমস্যার সমাধান করেছে? কয়েকজনকে বসিয়ে দিয়ে কমিশন করলেই কি সমস্যার সমাধান হবে? তাদের সবকিছু বুঝতেই তো অনেক সময় চলে যাবে। আমাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একটি কমিশন হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, অনেকেই জানে না বেসরকারি খাতের শিক্ষকদের কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। নায়েমসহ এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শুধু সরকারি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অথচ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি। সুতরাং নতুন কমিশন এসে এসব বিষয় বিবেচনায় নেবে।

তিনি আরও বলেন, কারিকুলাম ভালো করার পর প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকলে তো কাজ হবে না। শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট হতে অনেক সময় লাগে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই বিশৃঙ্খল ও অবিন্যস্ত।