বাংলাদেশের দুর্নীতি তদন্তে আগ্রহী আইএসিসিসি

- আপডেট সময় : ০১:৪৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
- / ৩৭০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক অ্যান্টি-করাপশন কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (আইএসিসিসি) বাংলাদেশে বড় ধরনের দুর্নীতির তদন্তে সহায়তা করার সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক তদন্তকারীরা বাংলাদেশে হওয়া ব্যাপক দুর্নীতিগুলোর তদন্তে কীভাবে সহায়তা করতে পারে, সে বিষয়ে যাচাই-বাছাই করছে।
স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্রতিবেদনটি করেছেন রব পাওয়েল। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. ইউনূস দাবি করেছেন, লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের ‘দেশে অবশিষ্ট ধন-সম্পত্তি রয়েছে’ এবং তাকে এর জন্য দায়ী করা উচিত।
টিউলিপ সিদ্দিক জানুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যের দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কারণ খোদ তার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তবে লন্ডনের এই এমপির একজন মুখপাত্র বলেছেন, তিনি (টিউলিপ) পুরোপুরি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং এই বিষয়ে তার সঙ্গে কখনোই যোগাযোগ করা হয়নি বলেও অভিযোগ তার।
স্কাই নিউজের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অ্যান্টি-করাপশন কো-অর্ডিনেশন সেন্টার এখন বাংলাদেশ সরকারের এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কীভাবে সহযোগিতা করায় যায় যে বিষয়ে সুযোগ খুঁজছে। যাতে তারা বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগগুলোর তদন্তে সহায়তা করতে পারে।
আইএসিসিসি বর্তমানে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) দ্বারা পরিচালিত। যার অর্থায়ন করে থাকে যুক্তরাজ্য সরকার। এটি বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকদের একটি দল যারা বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে বড় ধরনের দুর্নীতির অনুসন্ধানে কাজ করে থাকে।
যদিও এই অনুসন্ধানমূলক কাজটি যুক্তরাজ্য সংস্থাগুলোর সরাসরি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্তে জড়িত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করছে না। সূত্রগুলো বলেছে, কোনো নির্দিষ্ট অনুসন্ধানে সরাসরি আইএসিসিসি বা এনসিএ-এর সমর্থন দেয় না।
তবে সূত্রগুলো বলছে, এই অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে এটা যাচাই করা হতে পারে যে, পূর্ববর্তী শাসনামলে (আওয়ামী লীগ) অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা যুক্তরাজ্যে নেয়া হয়েছে কিনা।
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তার খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কিত। শেখ হাসিনা প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ছিলেন। গত বছরের আগস্টের ৫ তারিখ তিনি প্রতিবাদের পর দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।
যদিও শেখ হাসিনার অভিযোগ, তার শাসনামলে যে অপরাধ এবং দুর্নীতির অভিযোগ আনা হচ্ছে তা নতুন সরকারের পক্ষ থেকে।
লেবার পার্টি সূত্রে জানা গেছে, টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। তিনি কোনো বিদেশি সম্পত্তির মালিক নন এবং তার সঙ্গে যুক্তরাজ্য বা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।