এ বছর নির্বাচন আয়োজন কঠিন: নাহিদ

- আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে

সদ্য গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর নির্বাচন আয়োজন কঠিন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছুটা উন্নতি হলেও তা প্রত্যাশার চেয়ে কম।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকার সম্প্রতি জানিয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষদিকে নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
এ নিয়ে সদ্য গঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম রয়টার্সকে বলেন, ‘গত সাত মাসে আমরা সবাই আশা করেছিলাম কিছুটা সংস্কারের মাধ্যমে পুলিশের কার্যক্রম ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কিছুটা উন্নতি হলেও তা প্রত্যাশার চেয়ে কম।’
২৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ কয়েকদিন আগেও অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন। এবার তিনিই প্রথম উল্লেখিত সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন আয়োজন নিয়ে দ্বিধা প্রকাশ করলেন। আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে রয়টার্সকে বলেন, ‘বর্তমান আইনশৃঙ্খলা ও পুলিশের যে পরিস্থিতি, আমি মনে করি না এর মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, তরুণদের নেতৃত্বে গড়ে উঠা এই রাজনৈতিক দল দেশের রাজনীতির গতিগথই বদলে দেবে। এত বছর ধরে রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে আসছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ও খালেদা জিয়ার বিএনপি। এবার তরুণরা সেই ধারা বদলে দিতে পারে। তবে এরই মধ্যে কয়েকটি দল নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার তাগিদ দিচ্ছে।
এসব নিয়ে নাহিদ ইসলাম রয়টার্সকে বলেন, ‘যখনই নির্বাচন হোক, আমরা অংশ নিতে প্রস্তুত। তবে নির্বাচনের আগে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দল ও ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছানো জরুরি। আমরা যদি এক মাসের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারি, তাহলে নির্বাচনের জন্য তৎক্ষণাৎ প্রস্তুত হবো। কিন্তু যদি বেশি সময় লাগে, তাহলে নির্বাচন পেছানো উচিত।’
রয়টার্স বলছে, সম্প্রতি ঘোষিত তরুণদের এই দল গঠনের জন্য সমাজের বিত্তশালীরা অর্থায়ন করছেন বলে উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম।