১০ মাস পর এক অঙ্কের ঘরে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি

- আপডেট সময় : ০৯:১৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে

দেশে ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। যা জানুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। বুধবার (৪ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য জানিয়েছে।
টানা ১০ মাস পর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের নিচে নেমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে, ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। আগের মাসে যা ছিল ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। যা জানুয়ারি ২০২৫ সালে ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে ছিলো ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এছাড়া খাদ্য মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে। যা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়াতে ছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, গত ছয় মাসে চাল, আলু, পেঁয়াজ, মাছ-মাংস, ডিম ইত্যাদির দাম বেড়েছে। ২০২৪ সালে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ভুগেছে। গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষের সংসার চালানোই তাতে কঠিন হয়ে পড়েছে।
খাদ্যের দাম কমার তথ্য মেলে শহরের খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতিতে। এতে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে শহরের খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশে। যা জানুয়ারিতে ছিল ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এক মাসে মূল্যস্ফীতি কমল ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ পয়েন্ট। অন্যদিক গ্রামের খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত ফেব্রুয়ারিতে ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ পয়েন্ট কমে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশে দাঁড়ায়। যা জানুয়ারিতে ছিল ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ। গ্রামের মধ্যে দশমিক ১২ শতাংশ পয়েন্ট খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গত ফেব্রুয়ারিতে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। যা জানুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শহরে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে দশমিক ২ শতাংশ পয়েন্ট। গত ফেব্রুয়ারিতে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। বছরের প্রথম মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।