জুলাই আন্দোলনে সেনাবাহিনীকে ‘সতর্ক’ করেছিলেন ভলকার তুর্ক

- আপডেট সময় : ০১:১৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জুলাই আন্দোলন নিয়ে জাতিসংঘের পক্ষে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে বলা হয়েছিল, জুলাই আন্দোলনে জড়িত হলে তারা শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের ক্ষমতা হারাতে পারে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের হার্ডটক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন। বুধবার ওয়েবসাইটে এটি প্রকাশ করা হয়।
ফলকার তুর্ক বলেন, আমরা আসলে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে, যদি তারা জড়িত হয় তবে এর অর্থ হলো তারা আর সৈন্য প্রেরণকারী দেশ হতে পারবে না। ফলস্বরূপ, মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের নতুন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা পরিবর্তন দেখতে পাই।
হার্ডটকের উপস্থাপক স্টিফেন সাকুরের এক প্রশ্নে জাতিসংঘের হাইকমিশনার বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে আপনি জানেন, শিক্ষার্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। শেখ হাসিনার অধীনে পূর্ববর্তী সরকারের প্রতি তাদের যথেষ্ট সমর্থন ছিল। ব্যাপক দমন-পীড়ন চলছিল। তাদের জন্য বড় আশা ছিল আসলে আমাদের কণ্ঠস্বর, আমার কণ্ঠস্বর, আমরা কী করতে পেরেছি এবং আমরা পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করেছি।
ভলকার তুর্ক বলেন, ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁকে বাংলাদেশে একটি তথ্য অনুসন্ধানী মিশন পাঠানোর অনুরোধ করেছিলেন যাতে পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করে কী ঘটছে তা তদন্ত করা যায়।
তিনি বলেন, এটি আসলে সাহায্য করেছে। গত বছর আমি বাংলাদেশে ছিলাম। শিক্ষার্থীরা আমাদের অবস্থান নেওয়ার জন্য, কথা বলার জন্য এবং তাদের সমর্থন করার জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ ছিল।
গত বুধবার ভলকার তুর্ক জেনেভায় একটি তথ্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন, যেখানে ২০২৪ সালের জুলাই এবং আগস্টে বাংলাদেশে বিক্ষোভের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অপব্যবহারের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।