ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সেঞ্চুরি করা বেগুন নেমেছে ৮০’র ঘরে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর বাজারে রমজানের প্রথম দিন সেঞ্চুরি করেছিল বেগুন। যদিও তা এখন কিছুটা কমে ৮০’র ঘরে এসে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে লেবুর দাম এখনও বাড়তি আছে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। তবে দুই তিনটি ছাড়া অন্যান্য সব ধরনের সবজির দাম ক্রেতাদের সহনীয় পর্যায়ে আছে বাজারে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির এমন দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরবরাহ কমে যাওয়ায় শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এসব বাজারে শিম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বড় আকারের ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধাকপি বড় সাইজের ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, পাকা টমেটো প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, মটরশুটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা এবং শশা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি বেগুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা কেজি, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুরমুখি ১২০ টাকা, কচুর লতি ১২০ টাকা, ঝিঙ্গা এবং কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ধনে পাতা ১৪০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া ৮০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ১২০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লালশাক ১০ টাকা আঁটি, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, পালংশাক ১০ টাকা, কলমিশাক তিন আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা এবং ডাটাশাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। নতুন আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বগুড়ার লাল আলু ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে আদা ১৪০ থেকে ২৮০ টাকা, রসুন দেশি ১২০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা, মিনিকেট চাল ৮২ থেকে ৯০ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৮৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, আজকের বাজারে দাম তুলনামূলক কমই আছে তবে নির্দিষ্ট দুই চারটি সবজির দাম অতিরিক্ত বেশি। প্রতি রমজান মাসেই বেগুন, লেবুর দাম কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনা কেউ। আজও বেগুনের দাম অতিরিক্ত বেশি, এছাড়া লেবু কিনতে হচ্ছে ১০০ টাকা হালি। প্রতিবছর বোঝাই যায় এগুলো জিনিসের দাম বাড়বে রমজানে, তাহলে কেন আগে থেকে এসব নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না? অন্যান্য দেশে শুনেছি রমজান আসলে সমস্ত কিছুর দাম কমে যায়, তবে আমাদের দেশে তার উল্টোটা ঘটে।

রাজধানীর মালিবাগ বাজারের আরেক ক্রেতা মুকিদুর রহমান বলেন, বাজারে বেগুন, লেবু, পটল, ঢেঁড়স, করলা‌ ছাড়া অন্যান্য সবধরনের সবজির দাম এখনো কম রয়েছে। অন্য সবজির দাম যে কম সেজন্য সাধুবাদ জানাই, তবে বেগুন লেবুর দাম এত বেশি তার জন্য প্রতিবাদ জানাতে হয়। বাকি ওই সবজিগুলো এখন মৌসুম না হয় দাম বেশি, সেটা মেনে নিলাম। কিন্তু লেবু বেগুন এত দাম এ বিষয়ে কেন আগে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো না। রমজানে যেসব জিনিসের দাম বৃদ্ধি পায় সেগুলোর বিষয়ে আগে থেকেই সংশ্লিষ্টদের বাজার মনিটরিং করা উচিত ছিল। তবে বাজারে অন্য সবজির সহনীয় দামে আমি সাধারণ ক্রেতা হিসেবে বর্তমানে সন্তুষ্ট।

এদিকে, গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৪০ টাকা কমে সোনালি কক মুরগি ২৭০ টাকায় এবং সোনালি হাইব্রিড ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ১৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এসব বাজারে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ১৭০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকার ভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকার ভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রূপচাঁদা ১২০০ টাকা, বড় বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা, কোরাল মাছ ৭০০ টাকা, কাজলি মাছ ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ডজন, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিকে, পুরোপুরি সংকট না কাটলেও আগের তুলনায় কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের বাজার। অধিকাংশ দোকানেই এখন কম-বেশি বিভিন্ন কোম্পানির সয়াবিন তেলের বোতল পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনও বেশিরভাগ জায়গায় দৃশ্যমান হয়নি সয়াবিনের ৫ লিটারের বোতল।

বিভিন্ন মুদি দোকান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, সুপারশপ ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ জায়গায় ৫০০ মিলিগ্রাম, ১ ও ২ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল কম-বেশি পাওয়া যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের ব্ল্যাকআউটের মতো যে অবস্থা তৈরি হয়েছিল সেটি এখন তেমন নেই। প্রায় দোকানগুলোতেই ক্রেতারা সয়াবিন তেলের বোতল চাইলে পাচ্ছেন। তবে এখনও অদৃশ্য ৫ লিটারের বোতল।

নিউজটি শেয়ার করুন

সেঞ্চুরি করা বেগুন নেমেছে ৮০’র ঘরে

আপডেট সময় : ০১:১৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

রাজধানীর বাজারে রমজানের প্রথম দিন সেঞ্চুরি করেছিল বেগুন। যদিও তা এখন কিছুটা কমে ৮০’র ঘরে এসে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে লেবুর দাম এখনও বাড়তি আছে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। তবে দুই তিনটি ছাড়া অন্যান্য সব ধরনের সবজির দাম ক্রেতাদের সহনীয় পর্যায়ে আছে বাজারে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির এমন দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরবরাহ কমে যাওয়ায় শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এসব বাজারে শিম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বড় আকারের ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধাকপি বড় সাইজের ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, পাকা টমেটো প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, মটরশুটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা এবং শশা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি বেগুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা কেজি, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুরমুখি ১২০ টাকা, কচুর লতি ১২০ টাকা, ঝিঙ্গা এবং কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ধনে পাতা ১৪০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া ৮০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ১২০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লালশাক ১০ টাকা আঁটি, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, পালংশাক ১০ টাকা, কলমিশাক তিন আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা এবং ডাটাশাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। নতুন আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বগুড়ার লাল আলু ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে আদা ১৪০ থেকে ২৮০ টাকা, রসুন দেশি ১২০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা, মিনিকেট চাল ৮২ থেকে ৯০ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৮৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, আজকের বাজারে দাম তুলনামূলক কমই আছে তবে নির্দিষ্ট দুই চারটি সবজির দাম অতিরিক্ত বেশি। প্রতি রমজান মাসেই বেগুন, লেবুর দাম কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনা কেউ। আজও বেগুনের দাম অতিরিক্ত বেশি, এছাড়া লেবু কিনতে হচ্ছে ১০০ টাকা হালি। প্রতিবছর বোঝাই যায় এগুলো জিনিসের দাম বাড়বে রমজানে, তাহলে কেন আগে থেকে এসব নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না? অন্যান্য দেশে শুনেছি রমজান আসলে সমস্ত কিছুর দাম কমে যায়, তবে আমাদের দেশে তার উল্টোটা ঘটে।

রাজধানীর মালিবাগ বাজারের আরেক ক্রেতা মুকিদুর রহমান বলেন, বাজারে বেগুন, লেবু, পটল, ঢেঁড়স, করলা‌ ছাড়া অন্যান্য সবধরনের সবজির দাম এখনো কম রয়েছে। অন্য সবজির দাম যে কম সেজন্য সাধুবাদ জানাই, তবে বেগুন লেবুর দাম এত বেশি তার জন্য প্রতিবাদ জানাতে হয়। বাকি ওই সবজিগুলো এখন মৌসুম না হয় দাম বেশি, সেটা মেনে নিলাম। কিন্তু লেবু বেগুন এত দাম এ বিষয়ে কেন আগে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো না। রমজানে যেসব জিনিসের দাম বৃদ্ধি পায় সেগুলোর বিষয়ে আগে থেকেই সংশ্লিষ্টদের বাজার মনিটরিং করা উচিত ছিল। তবে বাজারে অন্য সবজির সহনীয় দামে আমি সাধারণ ক্রেতা হিসেবে বর্তমানে সন্তুষ্ট।

এদিকে, গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৪০ টাকা কমে সোনালি কক মুরগি ২৭০ টাকায় এবং সোনালি হাইব্রিড ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ১৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এসব বাজারে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ১৭০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকার ভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকার ভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রূপচাঁদা ১২০০ টাকা, বড় বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা, কোরাল মাছ ৭০০ টাকা, কাজলি মাছ ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ডজন, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিকে, পুরোপুরি সংকট না কাটলেও আগের তুলনায় কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের বাজার। অধিকাংশ দোকানেই এখন কম-বেশি বিভিন্ন কোম্পানির সয়াবিন তেলের বোতল পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনও বেশিরভাগ জায়গায় দৃশ্যমান হয়নি সয়াবিনের ৫ লিটারের বোতল।

বিভিন্ন মুদি দোকান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, সুপারশপ ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ জায়গায় ৫০০ মিলিগ্রাম, ১ ও ২ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল কম-বেশি পাওয়া যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের ব্ল্যাকআউটের মতো যে অবস্থা তৈরি হয়েছিল সেটি এখন তেমন নেই। প্রায় দোকানগুলোতেই ক্রেতারা সয়াবিন তেলের বোতল চাইলে পাচ্ছেন। তবে এখনও অদৃশ্য ৫ লিটারের বোতল।