গ্রীনল্যান্ডে নির্বাচনি আমেজ, প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

- আপডেট সময় : ০৩:৪৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
- / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে

বরফ ঘেরা শীতল গ্রীনল্যান্ডে জমে উঠেছে নির্বাচনি আমেজ। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে স্বায়ত্তশাসিত এ অঞ্চলটিতে। আর তা নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। তবে গ্রীনল্যান্ডের এবারের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই গ্রীনল্যান্ড দখলের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে পুরো গ্রীনল্যান্ড জুড়ে। এর জেরে তাদের স্বাধীনতা আদায়ে দাবি আরো জোড়ালো হয়েছে। ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন করতে চায় গ্রীনল্যান্ডবাসী।
ক্ষমতাসীন মিউট এগেদের দল কিছুটা ডেনমার্ক ঘেষা হলেও এবার গ্রীনল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে আপস করতে নারাজ তিনি।
গ্রীনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেদের বলেন, ‘ডেনমার্ক কিংবা যুক্তরাষ্ট্র কোন দেশের নিয়ন্ত্রণেই থাকতে চাই না। আমরা গ্রীনল্যান্ডবাসী হতে চাই এবং এখানকার লোকজনই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।’
ক্ষমতাসীনদের পাশাপাশি দেশটির প্রধান বিরোধী দলের প্রধান পেলে ব্রুবার্গও গ্রীনল্যান্ডের পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে। স্বাধীনতার প্রশ্নে ডেনমার্ক কিংবা যুক্তরাষ্ট্র কারো কাছেই আপস করতে চায় না তার দল।
গ্রীনল্যান্ডের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা পেলে ব্রুবার্গ বলেন, ‘গ্রীনল্যান্ডের স্বাধীনতা প্রক্রিয়া শুরু করলে এর প্রতিরক্ষা নিয়ে কাজ করতে হবে। আর এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই আলোচনা করতে হবে।’
সেখানকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের শঙ্কা একবার যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রীনল্যান্ডের দিকে নজর দিয়েছেন তা এড়িয়ে যাওয়া সহজ হবে না এখানকার রাজনৈতিক নেতাদের।
গ্রীনল্যান্ডের একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারিয়া আখরেন বলেন, ‘ট্রাম্প এর আগের মেয়াদেও গ্রীনল্যান্ডকে কিনে নেবেন বলেছিলেন। সেসময় অনেকেই একে মজার ছলে উড়িয়ে দিয়েছে। তবে এবার তিনি একাধিকবার গ্রীনল্যান্ড নিয়ন্ত্রণের কথা বলছেন। এবার গুরুত্বের সঙ্গে আমলে না নিয়ে উপায় নেই।’
১৯৫৩ সাল পর্যন্ত গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের একটি উপনিবেশ ছিল। বর্তমানে এটি ডেনমার্কের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। ২০০৯ সালে ভোটের মাধ্যমে দ্বীপটি স্বাধীনতা দাবি করার অধিকার অর্জন করে।