ঢাকা ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশটা কি কাপুরুষের দেশ হয়ে গেল, প্রশ্ন উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘যে মেয়েটি মেয়ে হয়ে ওঠেনি, যে মেয়েটি নারী হয়ে ওঠেনি, তার গায়ে হাত দেয় কী করে? এই দেশটা কী কাপুরুষের দেশ হয়ে গেলো?’ শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখতে গিয়ে এভাবেই ক্ষোভ ঝাড়েন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

এদিন দুপুরে ঢামেকে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এদেরকে দমন করার দায়িত্ব আপনাদেরও। সমাজ কি সুস্থ আছে বলে আপনার মনে হয়? আর আপনার কি মনে হয়, আমি ছয় মাস এসেছি, আর আপনার কি মনে হয়, এই পচে যাওয়া সমাজকে বদলে দেব! বাচ্চাটা জীবন নিয়ে লড়ছে, ডাক্তাররা জানে না তাকে বাঁচাতে পারবে কি পারবে না। ডাক্তাররা কাজ করছে, তরুণ ছেলে–মেয়েরা প্রতিবাদ করছে। আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এই বাচ্চাটা যেন সর্বোচ্চ বিচার পায়।’

বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পাশবিক নির্যাতনের শিকার আট বছরের শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভেন্টিলেটর যন্ত্রের সাহায্যে তার শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথম কথা, সবাই দোয়া করবেন বাচ্চাটা যেন বাঁচে। ডাক্তাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এসব ঘটনায় আপনাদের সাংবাদিকদেরও দায় আছে। দয়া করে আপনারা দোষীদের কোনোভাবেই জায়েজ করবেন না। বারবার এই ঘটনাগুলো ঘটছে। এগুলো হতে দেওয়া যাবে না। এখানে প্রমাণ আছে, আসামি আছে, কিছুতেই আমরা হাতছাড়া হতে দেব না। এটা অবশ্যই নজরে রাখতে হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশটা কি কাপুরুষের দেশ হয়ে গেল, প্রশ্ন উপদেষ্টার

আপডেট সময় : ০৮:২৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

‘যে মেয়েটি মেয়ে হয়ে ওঠেনি, যে মেয়েটি নারী হয়ে ওঠেনি, তার গায়ে হাত দেয় কী করে? এই দেশটা কী কাপুরুষের দেশ হয়ে গেলো?’ শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখতে গিয়ে এভাবেই ক্ষোভ ঝাড়েন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

এদিন দুপুরে ঢামেকে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এদেরকে দমন করার দায়িত্ব আপনাদেরও। সমাজ কি সুস্থ আছে বলে আপনার মনে হয়? আর আপনার কি মনে হয়, আমি ছয় মাস এসেছি, আর আপনার কি মনে হয়, এই পচে যাওয়া সমাজকে বদলে দেব! বাচ্চাটা জীবন নিয়ে লড়ছে, ডাক্তাররা জানে না তাকে বাঁচাতে পারবে কি পারবে না। ডাক্তাররা কাজ করছে, তরুণ ছেলে–মেয়েরা প্রতিবাদ করছে। আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এই বাচ্চাটা যেন সর্বোচ্চ বিচার পায়।’

বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পাশবিক নির্যাতনের শিকার আট বছরের শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভেন্টিলেটর যন্ত্রের সাহায্যে তার শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথম কথা, সবাই দোয়া করবেন বাচ্চাটা যেন বাঁচে। ডাক্তাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এসব ঘটনায় আপনাদের সাংবাদিকদেরও দায় আছে। দয়া করে আপনারা দোষীদের কোনোভাবেই জায়েজ করবেন না। বারবার এই ঘটনাগুলো ঘটছে। এগুলো হতে দেওয়া যাবে না। এখানে প্রমাণ আছে, আসামি আছে, কিছুতেই আমরা হাতছাড়া হতে দেব না। এটা অবশ্যই নজরে রাখতে হবে।’