ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নারী-শিশু ধর্ষণ-সহিংসতা ‘বৃদ্ধি’তে উদ্বিগ্ন জামায়াত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।

দলটি বলছে, বাস, ট্রেন, লঞ্চ, অফিস, বাসাবাড়ি, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা কোথাও আজ নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নেই। সারা দেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে তার খণ্ডিতাংশই সংবাদপত্র ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। বাস্তব অবস্থা আরও ভয়াবহ।

দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রোববার (৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ৫ মার্চ দিবাগত রাতে মাগুরা সদরে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে আট বছরের এক মেয়ে শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে মারাত্মক আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। সে এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

এদিকে, ৯ মার্চ রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে চার মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার নাম করে পানগাঁও ঋষিপাড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ডেকে নিয়ে কয়েকজন কুলাঙ্গার পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। অপর এক ঘটনায় গত ৫ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক ঢাবি শিক্ষার্থীকে ‘ওড়না ঠিক নেই’ বলে নাজেহাল করা হয়। এসব ঘটনায় প্রমাণিত হয় দেশে নারী ধর্ষণ ও সহিংসতা বেড়ে গেছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় দেশবাসীর সঙ্গে সঙ্গে আমরাও গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

তিনি আরও বলেন, মাগুরার আট বছরের মেয়ে শিশুর ধর্ষক ও ধর্ষণের সহযোগিতাকারীদের অপরাধ এক ও অভিন্ন। এদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এরকম ধর্ষক নামের নিকৃষ্টদের পাকড়াও করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বাস, ট্রেন, লঞ্চ, অফিস, বাসাবাড়ি, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা কোথাও আজ নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নেই। সারা দেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে তার খণ্ডিতাংশই সংবাদপত্র ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। বাস্তব অবস্থা আরও ভয়াবহ। নারী ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা একটি মারাত্মক জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বসহ সমাজের সচেতন নাগরিকদেরকে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ধর্ষকদেরকে ঘৃণা ও সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।

তিনি বলেন, নৈতিক অবক্ষয়ের কারণেই সমাজে নারী ও শিশু ধর্ষণ, হত্যা, ছিনতাই, গুম, অ্যাসিড সন্ত্রাস ইত্যাদি বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থার জন্য দায়ী নীতিহীন শিক্ষা ও সহশিক্ষা ব্যবস্থা, মাদকাসক্তি, সিনেমা এবং নাটকে অশালীন দৃশ্য প্রচার।

‘এ অবস্থা থেকে একমাত্র কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থাই মানুষকে মুক্তি দিতে পারে। নৈতিক শিক্ষা দিয়ে মানুষের বিবেককে জাগ্রত করে তাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব, মানবিক মূল্যবোধ ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করতে হবে। সমাজের সর্বস্তরে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী নীতি-আদর্শ অনুসরণের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করতে হবে। তাহলেই এ অবস্থার অবসান হতে পারে।’

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, মাগুরার মেয়ে শিশুর ধর্ষকদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাপূর্বক দেশে নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণ এবং হত্যা বন্ধের ব্যাপারে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

নারী-শিশু ধর্ষণ-সহিংসতা ‘বৃদ্ধি’তে উদ্বিগ্ন জামায়াত

আপডেট সময় : ০৬:৪৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।

দলটি বলছে, বাস, ট্রেন, লঞ্চ, অফিস, বাসাবাড়ি, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা কোথাও আজ নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নেই। সারা দেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে তার খণ্ডিতাংশই সংবাদপত্র ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। বাস্তব অবস্থা আরও ভয়াবহ।

দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রোববার (৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ৫ মার্চ দিবাগত রাতে মাগুরা সদরে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে আট বছরের এক মেয়ে শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে মারাত্মক আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। সে এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

এদিকে, ৯ মার্চ রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে চার মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার নাম করে পানগাঁও ঋষিপাড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ডেকে নিয়ে কয়েকজন কুলাঙ্গার পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। অপর এক ঘটনায় গত ৫ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক ঢাবি শিক্ষার্থীকে ‘ওড়না ঠিক নেই’ বলে নাজেহাল করা হয়। এসব ঘটনায় প্রমাণিত হয় দেশে নারী ধর্ষণ ও সহিংসতা বেড়ে গেছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় দেশবাসীর সঙ্গে সঙ্গে আমরাও গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

তিনি আরও বলেন, মাগুরার আট বছরের মেয়ে শিশুর ধর্ষক ও ধর্ষণের সহযোগিতাকারীদের অপরাধ এক ও অভিন্ন। এদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এরকম ধর্ষক নামের নিকৃষ্টদের পাকড়াও করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বাস, ট্রেন, লঞ্চ, অফিস, বাসাবাড়ি, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা কোথাও আজ নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নেই। সারা দেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে তার খণ্ডিতাংশই সংবাদপত্র ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। বাস্তব অবস্থা আরও ভয়াবহ। নারী ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা একটি মারাত্মক জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বসহ সমাজের সচেতন নাগরিকদেরকে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ধর্ষকদেরকে ঘৃণা ও সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।

তিনি বলেন, নৈতিক অবক্ষয়ের কারণেই সমাজে নারী ও শিশু ধর্ষণ, হত্যা, ছিনতাই, গুম, অ্যাসিড সন্ত্রাস ইত্যাদি বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থার জন্য দায়ী নীতিহীন শিক্ষা ও সহশিক্ষা ব্যবস্থা, মাদকাসক্তি, সিনেমা এবং নাটকে অশালীন দৃশ্য প্রচার।

‘এ অবস্থা থেকে একমাত্র কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থাই মানুষকে মুক্তি দিতে পারে। নৈতিক শিক্ষা দিয়ে মানুষের বিবেককে জাগ্রত করে তাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব, মানবিক মূল্যবোধ ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করতে হবে। সমাজের সর্বস্তরে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী নীতি-আদর্শ অনুসরণের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করতে হবে। তাহলেই এ অবস্থার অবসান হতে পারে।’

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, মাগুরার মেয়ে শিশুর ধর্ষকদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাপূর্বক দেশে নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণ এবং হত্যা বন্ধের ব্যাপারে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর আহ্বান জানাচ্ছি।